— প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে শনিবার দোষী সাব্যস্ত করেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করবেন। তিনি, শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। সিকি শতকের বিচারক-জীবনে নানা মামলায় রায় দিয়েছেন। কখনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, কখনও বেকসুর হয়েছে। কিন্তু শনিবারের রায় যে বিচারক দাসের জীবনে ‘দুর্মূল্য’ স্মৃতি হয়ে থাকবে, সে ব্যাপারে একমত আইনজীবীমহল।
শিয়ালদহ কোর্টের আইনজীবীরা অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক হিসেবে অনির্বাণ দাসকে বছর দুয়েক হল পেয়েছেন। আইনজীবী মহলের খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক পকসো মামলায় দোষীদের সাজা দিয়েছেন তিনি। শিয়ালদহ কোর্টের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অসীম কুমার বলছেন, ‘‘একাধিক পকসো মামলায় বিচারক দাস আসামিদের ২০ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন।’’ আবার ডাকাতি, এটিএম ভাঙার মামলায় তাঁর এজলাস থেকে অভিযুক্তেরা ছাড়াও পেয়েছেন বলে আইনজীবীমহলের খবর। তবে সাম্প্রতিক কালে আর জি করের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলা শিয়ালদহ কোর্টে হয়নি। এর আগে মাদক আইনের একটি মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন তিনি।
সূত্রের খবর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হওয়ার পর মুর্শিদাবাদে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অনির্বাণ। বিচারক হন ১৯৯৯ সালে। প্রথম পোস্টিং কৃষ্ণনগরের দেওয়ানি বিচারক হিসেবে। পরে বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) পদেও ছিলেন। ২০১১ সালে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক হন। ২০১৩ সালে জেলা বিচারক ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। পুরুলিয়া জেলা থেকে শিয়ালদহে বদলি হন বিচারক দাস। বিচার বিভাগের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ২৫ বছরের কর্মজীবনে ‘লিগ্যাল রিমামব্রান্সার’-এর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদেছিলেন। কলকাতা হাই কোর্টের অন্যতম রেজিস্ট্রার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। হাই কোর্টের ‘মিডিয়েশন কমিটি’-র সচিবের ভারও সামলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy