প্রতীকী ছবি।
কাজটা যে এখন হয় না বা প্রযুক্তিটা যে মৌলিক, তা নয়। কিন্তু দ্বিমাত্রিক ছবিকে ত্রিমাত্রিক ছবিতে পরিবর্তন করার কৌশল এত দিন পর্যন্ত বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত এবং তার জন্য গুনতে হত প্রচুর টাকা। এ বার এক বঙ্গসন্তানের দৌলতে গণিতনির্ভর প্রযুক্তির উপরে ভিত্তি করে দ্বিমাত্রিক ছবিকে বদলানো যাবে থ্রি-ডি বা থ্রি ডাইমেনশনাল (ত্রিমাত্রিক) ছবিতে। অর্থাৎছবিতে কোনও বস্তুর শুধু দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ নয়, মাপা যাবে গভীরতাও।
এই প্রযুক্তি ইউরোপ, আমেরিকায় আছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দেশেই সেই প্রযুক্তি তৈরি করে ফেলেছেন ভবানীপুরের সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “এ দেশে এই প্রযুক্তি এর আগে কেউ তৈরি করেনি। তাই আমেরিকা, ফ্রান্স থেকে প্রযুক্তি কিনে আনতে হয়। আমার উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে খরচ অনেক কম। পেটেন্টও নিয়েছি সরকারের কাছ থেকে।” পেশায় সফটওয়্যার ডেভেলপার সন্দীপবাবু জানান, থ্রি-ডি ছবি শুধু বিনোদনের জন্য নয়। চিকিৎসাশাস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিল্পচর্চাতেও তা অত্যন্ত জরুরি। প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের পাঠ্যপুস্তকে আগ্রহী করে তুলতেও এই প্রযুক্তির উপযোগিতা রয়েছে।
বরের কাগজ, টিভি, বইয়ের পাতার ছবি দ্বিমাত্রিক। সেই ছবিতে গভীরতা বোঝা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে দর্শক বুদ্ধি প্রয়োগ করে গভীরতা আঁচ করতে পারেন। কখনও কখনও মূলত বিদেশে তৈরি সিনেমায় থ্রি-ডি ছবি দেখা যায়। তাতে মনে হয়, পর্দার চরিত্রগুলি যেন উঠে বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রযুক্তি অনেকটাই নিখুঁত ভাবে দ্বিমাত্রিক ছবিকে ত্রিমাত্রিক করে তুলতে সমর্থ বলে সন্দীপবাবুর দাবি।
চিকিৎসাশাস্ত্রের ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ছবির বিশেষ দরকার। এক্স-রে, আলট্রাসোনোগ্রাফির মতো পরীক্ষায় ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া গেলে বিশেষত টিউমারের আকার-প্রকৃতি নির্ণয়ে সুবিধা হতে পারে। পাঠ্যপুস্তকে থ্রি-ডি ছবির ব্যবহার পড়ুয়াদের আকর্ষণ করতে পারে। তবে থ্রি-ডি ছবির মহিমা খালি চোখে অনুভব করা সম্ভব নয়। তার জন্য দামি চশমার প্রয়োজনের কথাও বলছেন অনেকে। সন্দীপবাবুর দাবি, তাঁর প্রযুক্তিতে তৈরি থ্রি-ডি ছবি একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সেলোফেন কাগজের চশমা দিয়েও দেখা সম্ভব। অর্থাৎ সাশ্রয় সেখানেও।
সন্দীপবাবু জানান, ১৪ বছর আগে তিনি গবেষণা শুরু করেন। পেটেন্টের আবেদন জমা দেন ১২ বছর আগে। সেখানে হাজির হয় কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা। শুরু হয় আইনি লড়াই। “এক যুগ লড়াই করে শেষ পর্যন্ত পেটেন্ট পেয়েছি,’’ বলেন ভবানীপুরের সন্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy