—ফাইল চিত্র।
দলীয় সাংসদ রাজু বিস্তাকে লেখা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চিঠি। সেখানে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি হঠাৎ এই শব্দটি ব্যবহার করতে গেলেন কেন?
দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী থেকে গোর্খাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ১১ জুলাই শাহকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। চিঠিতে দার্জিলিং পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এবং লাদাখে বসবাসকারী গোর্খাদের বিশেষ বাহিনীতে পুনর্নিয়োগের দাবি জানান তিনি। সাংসদের সেই চিঠির জবাব দিতে গিয়েই নতুন করে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন শাহ। এই চিঠির কথা জানাজানি হওয়ার পরে ক্ষুব্ধ রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের একটি সূত্রের দাবি, গোর্খাল্যান্ডের তো কোনও অস্তিত্বই নেই। তা হলে সেই প্রসঙ্গ ওঠে কী করে? জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পরে দার্জিলিঙেও পৃথক রাজ্যের দাবি উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই চিঠি তাতে নতুন করে ইন্ধন জোগাবে।
‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি নিয়ে রাজ্য বিজেপি কতটা সাবধানী, তা এ দিন দুর্গাপুরে তাদের চিন্তন বৈঠকেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে ভাগ করা নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রচার করা হবে। কিন্তু সেই সূত্রে কোনও ভাবেই যেন ‘গোর্খাল্যান্ড’ সামনে না আসে, বা মনে না হয় যে ‘গোর্খাল্যান্ড’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজু নিজেও এত দিন ধরে ‘গোর্খাল্যান্ড’ প্রসঙ্গ এড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানের কথাই বলেছেন। তার পরেও শাহের চিঠি প্রকাশ্যে এলে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে পারব না। উনি হয়তো পাহাড়ের মানুষের আবেগকে সম্মান দিতেই শব্দটি ব্যবহার করে থাকবেন।’’
তবে বিনয় তামাং থেকে তৃণমূল বা সিপিএম, সকলেই কড়া সমালোচনা করেছেন। বিনয় বলেন, ‘‘বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে ভোট নিয়ে এখন পাহাড়ের মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে। গোর্খাল্যান্ড করে দিতে না পারলেও মানুষকে বোকা বানাতে শব্দটি ব্যবহার করেছে।’’ পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি লাল বাহাদুর রাই বলেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়ে কাজ না করে ওই সব কথা বলে শান্ত পাহাড়কে ফের আশান্ত করতে চাইছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূল আর বিজেপি, কোনও পক্ষই পাহাড় সমস্যার সমাধান চাইছে না। কেউ ঘুরিয়ে, কেউ সরাসরি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে পাহাড়ে আশান্তি ছড়াচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy