প্রতীকী ছবি।
জাতীয় সড়কে টোল আদায়ে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কর ফাঁকি ধরা পড়েছে। ধরেছে রাজ্যের সদ্য গঠিত ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট (ডিআরআইই)। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে বলেছে রাজ্য। তা না দিলে এ রাজ্যে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টোল প্লাজাগুলিকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করে টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যের চিঠির আইনি দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপাতত টোল আদায়ে কোনও বাধা নেই।’’
ডিআরআইই সূত্রের দাবি, এ রাজ্যে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৫টি টোল প্লাজা রয়েছে। দু’টি সংস্থাকে চুক্তির ভিত্তিতে টোল আদায় করতে দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে এক থেকে ৩০ বছরের চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু সেই চুক্তির রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি। ফলে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ ২৫০ কোটি টাকা পায়নি রাজ্য। সেই টাকা চেয়েই জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ডিআরআইই-র ডিরেক্টর রণধীর কুমারের দাবি, শুধু পালসিট এবং ডানকুনি টোলপ্লাজা থেকেই বছরে ৯০ কোটি টাকার কর ফাঁকি ধরা পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার যখন কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য চেয়েও পায় না, তখন আমরাই বা কেন্দ্রের কর ফাঁকি ছাড়ব কেন?’’
রাজ্যের বক্তব্য, ১৫ দিনের মধ্যে সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ২৫০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। না হলে এ রাজ্যে টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। রণধীর জানাচ্ছেন, স্ট্যাম্প ডিউটি আইনে জেলাশাসকের হাতে কোনও নথি বা পঞ্জিকৃত চুক্তিপত্র ফেরত নিয়ে নেওয়ার (ইমপাউন্ড) অধিকার দেওয়া আছে। যদি জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২৫০ কোটি টাকা না দেয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক টোল প্লাজার যাবতীয় কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে নেবেন। সে ক্ষেত্রে তার আর টোল আদায়ের অধিকার থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy