জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ফাইল চিত্র।
রাজ্য জুড়ে কাটমানি ইস্যু নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন কইখালির এক ব্যবসায়ী। অভিযোগের ওই তালিকায় আরও ১৭ জনের নাম রয়েছে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে উভয় পক্ষকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
এ দিন শুনানির সময় মামলাকারীর আইনজীবী উদয় ঝাঁ জানান, তাঁর মক্কেলের নাম সন্দীপ আগরওয়াল। তাঁকে পারিবারিক একটি বিবাদের সূত্রে বিধাননগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বসুর অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, ওই বিবাদ মেটানোর জন্য সন্দীপকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে সেখানে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করেন উদয়ের মক্কেল। এর পর তিনি বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করতে যান। উদয়ের অভিযোগ, সেখানে সন্দীপকে পুলিশের সামনেই জোর করে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার একটি অঙ্গীকারপত্রে সই করানো হয়। গোটা ঘটনার সময় থানার সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখা ছিল বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর সন্দীপ সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।
মামলাকারীর আইনজীবীর এ দিন অভিযোগ করেন, গোটা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে। জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক, বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার-সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। আইনজীবী উদয় ঝাঁ এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘মামলাকারীর সঙ্গে মন্ত্রী, তাঁর আপ্ত সহায়ক এবং পুলিশের ফোনের রেকর্ডও রয়েছে। প্রয়োজনে প্রমাণ হিসাবে সেই তথ্য আদালতে পেশ করবেন মামলাকারী।’’ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন পার্থসারথি সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: নীরব মোদীর বোন, শ্যালকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ সিঙ্গাপুর হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: স্বস্তিতে রাজীব কুমার, গ্রেফতারির উপর ‘রক্ষাকবচ’ বহাল ২২ জুলাই পর্যন্ত
এই বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘মামলাকারীদের বিরুদ্ধে অন্য তিনটি মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁদের এক জনের সঙ্গে সন্দীপ আগরওয়ালের স্ত্রী-র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা কোনও অভিযুক্ত ঠিক করে দিতে পারেন না।’’ তখন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘‘মামলাকারীদের পক্ষে যারা মামলা করছেন, তাঁরা তদন্তকারী সংস্থা বাছতেই পারেন।’’ বিচারপতি সকলের বক্তব্য শুনে সব পক্ষকেই হলফনামা পেশের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি। তবে, এ বিষয়ে বিধাননগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বসু বলেন, ‘‘এ রকম কত আগরওয়ালই তো প্রতি দিন আমার কাছে আসেন। কোন আগরওয়ালের ঘটনার কথা বলছেন, আমি মনে করতে পারছি না। তবে যিনিই হোন, এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy