Advertisement
E-Paper

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হবে অনলাইনে

এ বার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হবে অনলাইনে। এই পরিষেবার জন্য একটি পোর্টাল তৈরি হয়েছে।

এ বার থেকে  স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হবে অনলাইনে।

এ বার থেকে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হবে অনলাইনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১৩:৫৩
Share
Save

এ বার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হবে অনলাইনে। সম্প্রতি 'অফিস অব দ্য ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অব স্কুলস'-এর তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে একটি ক্লিক করলেই তাদের পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতে পেয়ে যাবেন। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা তাঁরা অনলাইনেই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। নতুন এই পরিষেবার জন্য একটি পোর্টাল তৈরি হয়েছে, যেখানে পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। সঙ্গে পিএফ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, পোর্টালেই বলা থাকবে সমস্যা সমাধানের পথ। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যে সমস্ত বয়স্ক শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী অনলাইন পদ্ধতিতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁদের জন্য কি কোনও বিকল্প ভাবনাচিন্তার পরিসর রেখেছে শিক্ষা দফতর? এ প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতরের একাংশের কথায়, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাইছে শিক্ষা দফতর। যাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহারে তেমন সড়গড় নন, তাঁরা বাড়ির কম্পিউটার থেকে এই কাজ করতে পারবেন। যাঁদের বাড়িতে কম্পিউটার নেই, স্থানীয় কোনও সাইবার ক্যাফে থেকেও এই কাজ করতে পারবেন। তেমন ব্যবস্থাই করা হয়েছে নতুন এই পোর্টালটিতে।

নতুন এই অনলাইন পদ্ধতিতে খুশি শিক্ষকদের বড় অংশ। তাঁদের কথায়, কোনও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতির সঙ্গে যদি কোনও শিক্ষকের সম্পর্ক খারাপ হত, তা হলে তাঁদের পিএফ নিয়ে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হত। নতুন এই অনলাইন পদ্ধতিতে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতির পিএফ অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা থাকলেও, তাঁদের কাজকর্ম বহুলাংশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই স্কুলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আর প্রভাব ফেলতে পারবে না স্কুল শিক্ষকদের পিএফ অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে। অনেক সময় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণের আবেদন করে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দিনের পর দিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (ডিআই) অফিসে ঋণের জন্য ঘোরাঘুরি করেও, তা পেতে ব্যর্থ হন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, ঘুষ দিয়ে তাঁদের পিএফের বিনিময়ে ঋণ পেতে হয়েছে। নতুন এই অনলাইন পদ্ধতিতে পিএফের বিনিময়ে ঋণ পেতে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে কোথাও ঘুষ দিতে হবে না তাঁদের, দিনের পর দিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসেও ধারণা দিতে হবে না।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, "শিক্ষকদের পিএফ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নতুন অনলাইন পরিষেবা শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। কারণ, অনলাইন পদ্ধতিতে সব কিছুই থাকবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিজের নিয়ন্ত্রণে। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কারও উপর তাঁদের আর নির্ভরশীল হতে হবে না।"

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

Teachers PF Online Portal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}