রাজ্য নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হোক। মঙ্গলবারের সর্বদল বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে প্রায় একযোগে এই দাবি তুলল বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, শাসকদলের কারণে এখনও বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। তাই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিরোধী দলগুলি। যদিও শাসকদল তৃণমূল এই অভিযোগ মানেনি। তাদের দাবি, বিরোধীরা ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে’ অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে।
মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পারি, তা হলে কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসব। সময়সীমা বাড়ানো উচিত কমিশনের। এটা তাদের দায়িত্ব।’’ আর এক কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীর দাবি, মনোনয়ন পেশের সময়সীমা আরও অন্তত ১ দিন বৃদ্ধি করা উচিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কারণ, লক্ষাধিক মনোনয়ন পেশ বাকি রয়েছে। ভাঙড়ে যা হয়েছে, তা কমিশনের ‘ব্যর্থতা’ বলেই দাবি করেছেন তিনি।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা কী করে ৯৮ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা দেবেন? ৫০টি ব্লকে বিরোধী দল মনোনয়নপত্র দিতে পারেননি।’’ তিনি এ-ও অভিযোগ করেছেন, এই রাজ্যে ‘গণহত্যা লীলা’ চলছে। বিডিও দফতরে শাসকদলের ‘দুষ্কৃতী’রা বসে রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। তাঁর কথায়, ‘‘আজ যেটা হয়েছে, সেটা আগে হওয়া উচিত ছিল। আমরা জানিয়েছি ৫০টি ব্লকে একটাও মনোনয়ন জমা পড়েনি। কমিশনার নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করতে পারলেন না।’’ তিনি জানান, এটা ‘দখলদারি নির্বাচন’। তবে লড়াই চলবে।
রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যদিও বিরোধীদের এ সব অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা প্ররোচিত করছে। আমরা, শাসক দল চাই সকলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। অবাধ এবং শান্তিতে ভোট হোক। কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে বাংলা এবং সরকারকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy