মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে সমাবেশে আলাপিনীর সদস্যারা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর মৃত্যুদিবসকে সামনে রেখে আবার অবস্থানে বসলেন বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যেরা। প্রতি বছর ৩০ জানুয়ারি দিনটি তাদের ‘নতুন বাড়ি’তে সাড়ম্বরে পালন করে আলাপিনী। কিন্তু, এ বছর সেই কক্ষ থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ায় মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার দরজার সামনেই দিনটি পালন করলেন সমিতির সদস্যারা। রবীন্দ্রনাথ ও গাঁধীজির সুসম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে একাধিক গান ও কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে মহাত্মাকে স্মরণ করেন তাঁরা। সমিতির দাবিগুলিকেও পুনরায় তোলা হয়।
আলাপিনী মহিলা সমিতি এবং বিশ্বভারতীর মধ্যে প্রায় এক মাস ধরে বিরোধ চলছে। গত ১০ ডিসেম্বর আশ্রমের ভিতরে আলাপিনীর অধিবেশন কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত ‘নতুন বাড়ি’ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আলাপিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তা ফলপ্রসূ হয়নি। গত ১ জানুয়ারি ‘নতুন বাড়ি’ সিল করে দেয় বিশ্বভারতী। এর পরে একাধিক বার প্রতিবাদ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন আলাপিনীর সদস্যারা। কিন্তু, সমাধানসূত্র বেরোয়নি।
সমিতির সভানেত্রী অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলেন, “গাঁধীজি যখন ১৯১৫ সালে বিশ্বভারতীতে আসেন, তখন তিনি সস্ত্রীক এই ‘নতুন বাড়ি’তেই থেকেছিলেন। তাই এই বাড়ি আমাদের কাছে মন্দির। সেখান থেকেই আমাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত তাই আরও বেশি হৃদয় বিদারক।’’ সমিতির সদস্যা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ জীবনে এসে বিশ্বভারতীর দায়দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন গাঁধীজির হাতে। সেই বিশ্বভারতীতেই এমন একটি বিশেষ দিনে কোনও অনুষ্ঠান হল না। এই ঘটনা বিশ্বভারতীর সঙ্গে জড়িত সকলের কাছেই লজ্জাজনক!” ভবিষ্যতেও নিজেদের দাবি আদায়ের উদ্দেশে তাঁরা সংগঠিত হবেন বলেও জানান সদস্যারা।
তবে, এ দিন সন্ধ্যায় নবনির্মিত রামকিঙ্কর মঞ্চে গাঁধীজির মৃত্যু দিবস উপলক্ষে একটি নাটক পরিবেশন করে বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বক্তব্য পেশ করেন উপাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy