দাঁতনে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
দিলীপ ঘোষ কাচ। শুভেন্দু অধিকারী হীরে। মন্তব্য পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতির।
রেলশহরে উপনির্বাচন। আর তাকে কেন্দ্র করে লড়াই মেদিনীপুরের মাটির দুই ভূমিপুত্র দিলীপ ও শুভেন্দুর। সে লড়াইয়ে হীরে আর কাচের উপমা এনে অন্য মাত্রা যোগ করলেন অজিত। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না দিলীপ ঘোষ। লটারিতে জিতে সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু মানুষ চিনে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ কাচ আর শুভেন্দু অধিকারী হীরে। এই উপ-নির্বাচনে সেটা মানুষ বুঝিয়ে দেবেন।” পাল্টা এসেছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকেও। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিধানসভা ও লোকসভায় জিতে দিলীপ ঘোষ প্রমাণ করেছেন তিনি হীরে। অজিত মাইতি তৃণমূলের সভাপতি থাকাকালীন ওদের দল হেরেছে। অজিত মাইতির এই জহুরি রূপ মানুষ মেনে নেবে না।’’
গত ১১ সেপ্টেম্বর রেলশহরের যুব নেতা গৌতম চৌবের স্মরণসভায় শুভেন্দুর আসার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তিনি সে দিন ওই স্মরণসভায় উপস্থিত হতে পারেননি। তাই নতুন করে শহরে বড় জমায়েত করে শুভেন্দুকে আনার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। শাসক দল সূত্রের খবর, শুভেন্দু ব্যস্ত নেতা। তাঁর অনেক দায়িত্ব। তাই কিছুটা সময় লাগছে। তবে রুটিন জনসংযোগে ঘাটতি নেই দিলীপের। এ দিন খড়্গপুর শহরে চা-চর্চার মাধ্যমে জন-সংযোগ সারেন তিনি। রেল বাংলোয় ফিরে এসে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের সঙ্গেও নানা আলোচনা করেন তিনি। সেই আলোচনা সেরেই বিজেপির জেলা ও মণ্ডলের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে করেন দিলীপ। সেখানে শহরে আসন্ন উপ-নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বলেন, “দিলীপদার উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে নানা সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের প্রসঙ্গও এসেছে। উনি একটাই কথা বারবার বলেছেন, উপ-নির্বাচনে ‘লিড’ ধরে রেখে আরও ভল ফল করে জিততে হবে।” জনসংযোগের মাঝে দিলীপ বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে লড়বও আমরা। জিতবোও আমরা।’’
খড়্গপুর থেকে নারায়ণগড় ও দাঁতন ২ ব্লকে গিয়েছিলেন দিলীপ। নারায়ণগড়ের দু’টি হাসপাতাল ঘুরে দাঁতন ২ ব্লকের সাউরি ভোলানাথ বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ‘জনতার দরবারে’ যোগ দেন তিনি। সেখানে হিন্দি ভাষা চালুর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ জানান, ‘‘হিন্দি জানলে ক্ষতি কী ! রাজ্যের বাইরে গেলে কীভাবে কথা বলবেন! অনেক ভাষা জানা দরকার।’’ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার সান্ত্বনা পুরস্কার দিচ্ছেন ‘দিতে পারি জানুয়ারিতে’ এই ধরনের কথা বলে। এ ধরনের কথা বলে মানুষের অধিকার হরণ করছেন। টাকা পয়সা কেন্দ্র দিচ্ছে যাচ্ছে কোথায়? এটা জানার অধিকার আছে মানুষের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy