অধীর চৌধুরী। —ফাইল ছবি।
আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের জন্য বরিষ্ঠ পর্যবেক্ষকদের নাম ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার এআইসিসি থেকে প্রকাশিত বরিষ্ঠ পর্যবেক্ষকদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী। এআইসিসি-র অন্য দু’জন পর্যবেক্ষক হলেন তারিক আনোয়ার এবং ভট্টি বিক্রমক্কা মল্লু। ঘটনাচক্রে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সিকেও হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং তেলঙ্গানার ভোটে পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়ে ভাল ফল পেয়েছিল এআইসিসি। আর এ বার অধীরকে ভিন্ রাজ্যের দায়িত্বে পাঠিয়ে তাঁর নেতৃত্বও পরখ করে নিতে চাইছে এআইসিসি, এমনটাই মত অনেকের।
লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে পরাজিত হয়েছেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও অধীরকে সরানো হয়েছে। এখন কেবল তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য। এ বার বিগত লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাকে ঝাড়খণ্ডের ভোটের বড় দায়িত্ব দেওয়া হল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াই করছে কংগ্রেস। এ ক্ষেত্রে জোটধর্ম পালন করে বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনাই লক্ষ্য এআইসিসির। তাই তারিক-অধীরদের মতো নেতাদের ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ।
যে ভাবে হরিয়ানায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে অভিজ্ঞ এবং প্রতিবেশী রাজ্যের নেতাকেই ঝাড়খণ্ডের ভোটের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেছে এআইসিসি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড পুনর্দখল করতে বিজেপিও বাংলার নেতাদের সক্রিয় করেছে অনেক আগে থেকেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হলেও, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি।
ঝড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা থেকে বিজেপিতে যোগদান করাতে বড় ভুমিকা নিয়েছেন শুভেন্দু। আবার ভোটের আগেই কয়েক দফা তাঁকে কলকাতা থেকে উড়িয়ে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, শুভেন্দুর সঙ্গে অন্য বিধায়কদেরও ঝাড়খণ্ডের ভোটে কাজে লাগানো হবে। ইতিমধ্যে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে আবার বেশকিছু বিধানসভার দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। আর এ বার ঝাড়খণ্ডের ভোট যুদ্ধে বাংলার কংগ্রেস ও বিজেপি নেতাদের দ্বৈরথ দেখা যেতেই পারে বলে মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy