বিভ্রান্তি কাটিয়ে বিদ্যুতের ‘সঠিক বিল’-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ফের পথে নামল বিভিন্ন দল ও সংগঠন। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই শুক্রবার বিভিন্ন বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে দেখাল বিজেপি। কলকাতায় বামেদের অভিযান ছিল মোমিনপুরের সিইএসসি দফতরে। আবার সিইএসসি-র সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে গণ-শুনানির আয়োজন করেছিল ‘বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধি-বিরোধী নাগরিক মঞ্চ’।
বিজেপির বিক্ষোভ ছিল সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কলকাতায় বিদ্যুৎ সংযোগে সিইএসসি-র একচেটিয়া আধিপত্যের প্রতিবাদে। কলকাতায় শ্যামবাজার, ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন এবং তারাতলা-সহ নানা জায়গায় বিক্ষোভে ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। হাওড়াতেও বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপির দুই সাধারণ সম্পাদক।
কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট ও সহযোগী বাম দল মিলে এ দিন মোমিনপুরে অবস্থান কর্মসূচির পরে তারাতলায় সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাতে যান বাম নেতারা। লকডাউন-পর্বে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত যাঁদের বিদ্যুৎ খরচ, তাঁদের সম্পূর্ণ ছাড়, যাঁদের ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত খরচ, তাঁদের অন্তত ১০০ ইউনিট ছাড় এবং জুন মাসের ‘অযৌক্তিক’ বিল প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘‘সিইএসসি কর্তৃপক্ষের শীর্ষ স্তরের বৈঠকে যাতে আমাদের এই দাবি নিয়ে আলোচনা হয়, সে কথা আমরা বলেছি।’’
সিইএসসি-র এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল মুকুবের দাবিতে এ দিনই কলকাতায় প্রতিবাদ দিবস পালন করে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, চড়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহকদের মধ্যেও যে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়েও এ দিন জেলা স্তরে প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয়েছে। তাঁদের এবং গণ-শুনানি নাগরিক মঞ্চেরও দাবি, বিভ্রান্তির দ্রুত নিষ্পত্তি করে নতুন বিল পাঠাতে হবে। মঞ্চের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ বসুর বক্তব্য, মাসিক বিদ্যুৎ খরচ ও তার দাম এবং কোন স্ল্যাবে নেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে সরকারি করের স্বচ্ছ হিসেব-সহ সিইএসসি-কে সংশোধিত বিল পাঠাতে হবে।
জুনের বিল কী ভাবে নেওয়া হবে, তা শীঘ্রই গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে রবিবার ঘোষণা করেছিল সিইএসসি। কিন্ত এখনও সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁরা কাজ করছেন বলেই শুনেছি।’’