ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারির মধ্যেও বিক্ষোভ-ঘেরাও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছু ছাড়ছে না। ফলপ্রকাশে দেরি, পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি, স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তিতে অস্বচ্ছতা-সহ বেশ কিছু বিষয়ে অভিযোগ তুলে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ (ফেটসু) বুধবার রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখায় এবং দুই সহ-উপাচার্য ও বিভাগীয় ডিনকে ঘেরাও করে রাখে। প্রথম বর্ষের পরীক্ষার নম্বরে যে কিছু ভুল হয়েছিল, তা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ জানান, সব সংশোধন করে নতুন মার্কশিট দেওয়া হয়েছে।
ফেটসু-র চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার জানান, এ বার ফলপ্রকাশে খুব দেরি হয়েছে। তার উপরে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হয়েছে দু’বার। প্রথম মার্কশিটের যে-নম্বর দেওয়া হয়েছিল, পরেরটিতে তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েছেন অনেকেই। এর পাশাপাশি স্নাতকোত্তর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। এই সব বিষয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চান তাঁরা। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকেও তাঁরা এই নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বলে জানান অরিত্র।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। পরে বেরিয়ে যান। তার পরে অরবিন্দ ভবনের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান দেখাতে শুরু করে ফেটসু। সেই সঙ্গে বেশি রাত পর্যন্ত চলে ঘেরাও। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের কাছে ফেটসু-সদস্যেরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন। স্মারকলিপিও জমা দেন।
‘‘বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করাই যায়। বস্তুত, আলোচনার মাধ্যমেই এগুলির সমাধান করা দরকার। এর জন্য বিক্ষোভের প্রয়োজন হয় না,’’ বলেন সহ-উপাচার্য। তিনি স্বীকার করেন, প্রথম বর্ষের পরীক্ষার নম্বর আপলোডিংয়ে ভুল হয়েছিল। পরে তা ঠিক করে আবার নতুন মার্কশিট দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাইরের যে-সংস্থাকে মার্কশিট সংক্রান্ত কাজকর্মের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের নাম-ঠিকানা তাঁদের জানাতে হবে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। কারণ, সেটা অনৈতিক বলে মন্তব্য করেন সহ-উপাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy