লাইনে ক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার সোদপুর স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।
দু’দল যাত্রীর মধ্যে বচসা-হাতাহাতির জেরে ফের রেল থমকাল সোদপুরে। অবরোধের জেরে বুধবার বিকেলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ-নৈহাটি লাইনে। ব্যস্ত সময়ে ন’জোড়়া লোকাল ট্রেন বাতিল করতে হয় রেলকে। তার ফলে অফিস ফেরত হাজার হাজার যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ উঠলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও ঘণ্টাখানেক কেটে যায়। অবরোধকারীদের অভিযোগ, এক দল দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে ট্রেনে ওঠায় অন্য যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। তবে কেন অবরোধ, তা নিয়ে কিছু জানায়নি রেল পুলিশ। শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করব না।’’
সপ্তাহ দেড়েক আগে ভুল ঘোষণার জেরে ধুন্ধুমার বেধেছিল এই সোদপুরেই। ক্ষিপ্ত যাত্রীরা রেল রুখেই ক্ষান্ত হননি, টিকিট কাউন্টার-সহ রেলের কন্ট্রোল রুমেও ভাঙচুর চালান। অবরোধকারীদের ছোড়া ইটে জখম হন সহকারী স্টেশন ম্যানেজার। ভুল ঘোষণার জেরে এর আগেও তিন বার অবরোধ-গোলমালে অশান্ত হয়েছিল সোদপুর।
এ দিন ঝামেলার শুরু ব্যারাকপুর লোকাল শিয়ালদহ ছেড়ে বেরোনোর পরে। অভিযোগ, একদল যাত্রী ধারাল অস্ত্র নিয়ে কামরার গেটে দাঁড়িয়ে পড়ে। ওঠা-নামা করতে অসুবিধায় পড়েন অন্য যাত্রীরা। দমদম থেকে কিছু যাত্রী প্রতিবাদ শুরু করেন। বেলঘরিয়ার পরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। তার পর হাতাহাতি।
ট্রেনটি সোদপুরে ঢুকলে ওই কামরার অন্য যাত্রীরা নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। তখন বিকেল পাঁচটা। ট্রেন ছাড়ার সময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। আরও অনেকে অবরোধ যোগ দেয়। আপ এবং ডাউন দু’টি লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার জেরে অন্যান্য স্টেশনে আটকে পড়ে একের পর এক ট্রেন।
অবরোধ শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পৌঁছয় রেলপুলিশ। সোদপুরের আগের ঘটনা মাথায় রেখে নামানো হয় র্যাফও। অবরোধকারীরা দাবি তোলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। রেলপুলিশের মৌখিক আশ্বাসে সওয়া ছ’টায় অবরোধ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy