নবান্ন। ফাইল চিত্র।
মালবাজারের দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি এক ভার্চূয়াল বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ জেলা স্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। সেখানেই প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মালবাজারের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। সেখানে জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়, জেলায় জেলায় যে সব ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়, সেখানে প্রশাসনকে নজরদারি রাখতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি, উদ্ধারকারী দল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দশমীর সন্ধ্যায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে যান বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে উদ্ধারকাজ বন্ধ ছিল। পরে আবার শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ। বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় দিয়ে উদ্ধারকাজ দেখতে ভিড় জমান অনেকে। বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই পরিমাণ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।
তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক তরজা থেমে নেই। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল নেটমাধ্যমে অভিযোগের সুরে লেখেন, ‘‘জনসাধারণের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কার্নিভাল হচ্ছে অথচ ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গে প্রতিমা নিরঞ্জনের কোনও পরিকাঠামো গড়ে তোলা হল না। যার ফলে মালবাজারে আট জনের মৃত্যু, প্রায় ৫০ জন নিখোঁজ। ধিক্কার প্রশাসনকে।’’ এর জবাবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর জবাব, ‘‘বিজেপি তো লাশের রাজনীতি করতে ভালবাসে। এক্ষেত্রেও ওরা তাই করছে, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে ওদের বেশি আগ্রহ লাশ নিয়ে রাজনীতিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy