Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
abhisekh bandopadhay

নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের কর্মসূচিতে দু’জনে, তবে কথা হল না অভিষেক-কল্যাণের

মঞ্চের নীচে বসেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপরে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একে অপরকে দেখতে পেলেও তাঁদের কথা বলার সুযোগ ছিল না।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়— উভয়েই বুধবার হাজির ছিলেন নেতাজি ইন্ডোরে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়— উভয়েই বুধবার হাজির ছিলেন নেতাজি ইন্ডোরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৪
Share: Save:

সাম্প্রতিক সঙ্ঘাতপর্বের পর এই প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচিতে দুই বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কথা হল না অভিষেক-কল্যাণের।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়— উভয়েই বুধবার হাজির ছিলেন নেতাজি ইন্ডোরে। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচিতে। কল্যাণ আগাগোড়া বসেছিলেন মঞ্চের নীচে প্রথম সারির চেয়ারে। তাঁর ডান পাশে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বাঁ-পাশে ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান। সেই সারিতেই তৃণমূলের অন্য সাংসদদের সঙ্গে ছিলেন দোলা সেন, মালা রায়, সুনীল মণ্ডল প্রমুখ। নীচে বসেই মাঝেমধ্যে সতীর্থ সাংসদদের সঙ্গে কথা বলছিলেন কল্যাণ। কিন্তু মঞ্চে আসীন অভিষেকের সঙ্গে তাঁর কোনও কথাবার্তা হয়নি।

তবে দু’জনের কথা হওয়ার বিশেষ কোনও অবকাশও ছিল না। কারণ, কল্যাণ বসেছিলেন মঞ্চের নীচে। অভিষেক ছিলেন মঞ্চের উপর। একে অপরকে দেখতে পেলেও তাঁদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। তবু তৃণমূলের একটা অংশ কৌতূহলি ছিল এটা দেখতে যে, একেবারে প্রথম সারিতে বসে-থাকা কল্যাণের সঙ্গে মঞ্চ থেকে অভিষেকের বাক্যবিনিময় হয় কি না। কিন্তু তা হয়নি। সাংগঠনিক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নেতাজি ইন্ডোর ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক।

বুধবার সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হওয়ার কিছু পরে মঞ্চে ওঠেন অভিষেক। পরনে চিরাচরিত সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। মুখে কালো মাস্ক। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশেই বসেছিলেন অভিষেক। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সী। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা। তাঁদের দু’জন এবং এবং পার্থ ছাড়া আর বিশএষ কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি অভিষেককে।

জানুয়ারি মাসে অভিষেকের ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’ ও পুরভোট নিয়ে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মতামত’-কে কাঠগড়ায় তুলে অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। সঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, মমতা ছাড়া অন্য কাউকে তিনি নেতা মনে করেন না। এর পর অভিষেকের সমর্থনে তৃণমূলের কর্মীরা প্রকাশ্যেই কল্যাণের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। সাংসদ পদ থেকে কল্যাণের পদত্যাগের দাবিও ওঠে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে বাগ্‌যুদ্ধও বেধে যায় কল্যাণের। শেষমেষ আসরে নেমে দু’পক্ষকে সতর্ক করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ।

ঘটনাচক্রে, তার পরে গোয়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেককে কল্যাণের ‘অন্য কাউকে নেতা মানি না’ দাবি সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। তখন অভিষেক ‘কৌশলী’ জবাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে নেতা মনে করেন না। আমিও তো তা-ই বলছি! আমিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে নেতা মনে করি না।’’ সে কথা জেনে কল্যাণ আবার অভিষেককে ‘মাননীয় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক’ সম্বোধন করে বিবৃতি দেন।

এর পর ওই বিষয়ে আর পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করেনি কোনও পক্ষ। তার পর এই প্রথম দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিলেন দু’জনে।

অন্য বিষয়গুলি:

abhisekh bandopadhay TMCP Politics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy