রবিবারও তালিকায় ছিলেন মুকুলরা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি-র কার্যাকারিণী বৈঠক। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে সোমবার দেখা যায় দলের ওয়েবসাইটে কার্যকারিণী কমিটির তালিকায় (স্টেট এগজিকিউটিভ কমিটি মেম্বার) রয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়। সেই খবর আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশের পরেই সোমবার বদলে গেল সেই তালিকা। কমিটির সদস্য সংখ্যা ১১০ থেকে কমে হল ১০৭। আসলে মুকুল নয়, সেই সঙ্গে তালিকায় থেকে গিয়েছিল বিজেপি ছেড়ে দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তালিকার ৪৬, ৫৩ এবং ৯০ নম্বর থেকে বাদ গিয়েছে যথাক্রমে মুকুল, শোভন ও বৈশাখীর নাম।
মুকুল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন গত ১১ জুন। তার পরে পরেই দলের সর্বভারতীয় ওয়েবসাইট থেকে মুকুলের সহ-সভাপতি পরিচয়-সহ নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। দলের রাজ্য দফতরে মুকুলের ঘরের নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়। এর পরে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১৬ জুলাই তার শুনানি হওয়ার কথা। অথচ সেই মুকুলের নাম থেকে যায় কার্যকারিণী সমিতির সদস্য তালিকায়।
মুকুলের অনেক আগেই বিজেপি ছাড়েন শোভন-বৈশাখী। বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায়বেহালা পূর্ব এবং বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রেতাঁদের দু’জনের কারও নাম না থাকার পরেই বিজেপি-র সব দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়েন ওই দু’জন। ১৪ মার্চ সেই ঘোষণার কথা জানানোর পরেও ২৭ জুন পর্যন্ত তাঁদের নাম থেকে যায় কার্যকারিণী সমিতির সদস্য তালিকায়।
এমন কেন হয়েছে তা জানতে চাইলে রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে রাজ্য বিজেপি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওয়েবসাইট আমিএর মধ্যে দেখিনি। হয়তো যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা খেয়াল করেননি। আসলে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে আমরা সকলেই ছোটাছুটি করছি এবং উদ্বেগে রয়েছি। তাতেই নজর এড়িয়ে গিয়েছে। তবে ভুল থাকলে নিশ্চয়ই সেটা ঠিক করে নিতে হবে।’’ সোমবার দেখা গেল সত্যিই তা ঠিক করে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy