মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বোলপুরে চিকিৎসকের জমির মিউটেশন সম্পন্ন হল। বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই চিকিৎসকের ওই আবেদনে সিলমোহর পড়েছে।
জেলাশাসক নির্দেশ দিলেও জেলার নিচুতলার অফিসার, কর্মীদের একাংশ তা গ্রাহ্য করছেন না— বুধবার ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভায় এ ভাবেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদাহরণ স্বরূপ তিনি কলকাতার বাসিন্দা এক চিকিৎসকের প্রসঙ্গ তোলেন। সূত্রের খবর, ওই বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বোলপুরের সুরুল মৌজায় দু’টি জমি কিনেছেন। একটি চিকিৎসকের নিজের নামে। অন্যটি তাঁর স্ত্রীর নামে। চলতি বছর জানুয়ারিতে দু’টি জমির মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। জানুয়ারিতেই চিকিৎসকের স্ত্রীর জমির মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, চিকিৎসকের জমির মিউটেশন এত দিন হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, নিচুতলার আধিকারিকদের একাংশের জন্যই আটকে রয়েছে মিউটেশন।
সেই সূত্রেই ভূমি ও অর্থসচিব মনোজ পন্থকে বুধবার মমতা বলেন, ‘‘তুমি হয়তো মনোজ ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছ, ডিএম ইনস্ট্রাকশন দেওয়ার পরেও তোমার লোকাল লেভেলে অনেক এলআর কাজটা শেষ করছে না।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি সম্প্রতি নজরে আসার পরেই বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু সেটা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) এবং মহকুমাশাসককে (বোলপুর)। সেই কাজে হাতও পড়েছিল। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরে জেলা প্রশাসনের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। বকেয়া কাজ সম্পন্ন হয় বুধবার রাতেই। জেলা ভূমি দফতরের এক কর্তা অবশ্য এত দিন মিউটেশন সম্পন্ন না হওয়ার পিছনে ‘অন্যায় সুবিধা’ ভোগ করা নয়, পদ্ধতিগত জটিলতাকেই দায়ী করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy