মধ্যমগ্রাম থেকে আমডাঙার পথে প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। নিজস্ব চিত্র।
সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসঙ্গে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অষ্টম দিনে বুধবার পদযাত্রা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে আমডাঙা পর্যন্ত। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পদযাত্রায় প্রায়শই পা মেলাতে দেখা যাচ্ছে বিশিষ্ট জনেদের একাংশকে। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে এ দিনের যাত্রাপথেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আমডাঙার গাদামারা বাজারে দলের সভায় এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘ভোট শেষ হয়ে গেলেই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি চুপ হয়ে যায়। ভোট এলেই দেখবেন দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি ফের এনআরসি নিয়ে আসবে! আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য ঘুরে মোদী-বিজেপির বিরুদ্ধে বলবেন। কেন্দ্রে মোদী, রাজ্যে মমতার কথা শুনে মানুষ ভাগ হবেন। আপনারা ভয় পেয়ে ভোট দেবেন। ওরা জিতবে!’’ রাজ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অধীরবাবুর আরও বক্তব্য, ‘‘বাংলায় বেকার যুবকদের জীবনের সমস্যা বাড়ছে। লুটতরাজ, দুর্নীতি, রাহাজানি, খুন-ধর্ষণ, বোমা-গুলির রমরমা চলছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজ সাধারণ মানুষের হাজার হাজার প্রশ্ন।’’ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য ফের কটাক্ষ করেছেন, ‘‘এ সব কথা বলে ওঁরা শূন্য থেকে মহাশূন্যের পথে যাত্রা করছেন!’’ আর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘কংগ্রেস, সিপিএম পরীক্ষিত ও প্রত্যাখ্যাত। যে যা-ই বলুন, ভবিষ্যৎ বিজেপি-ই।’’ মধ্যমগ্রাম থেকে এ দিনের পদযাত্রায় ছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, প্রীতম ঘোষ, সৌরভ প্রসাদ, ইন্দ্রাণী দত্ত চৌধুরী, সালাউদ্দিন ঘরামি, সুব্রতা দত্ত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (গ্রামীণ) কংগ্রেস সভাপতি অমিত মজুমদারেরা। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এর পরে ঢুকবে নদিয়া জেলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy