বিধান ভবনে ইফতার অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজস্ব চিত্র।
আইনশৃঙ্খলার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করে ইদের পরেই রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের পথে যাওয়ার কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস। সেই সঙ্গেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিলেন, ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে দলের অবস্থান বদলের কোনও বার্তা তাঁদের হাই কম্যান্ড দেয়নি। দল ভাঙানোর রাজনীতিকে (‘পলিটিক্যাল পোচিং’) প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে পি কে-র ভূমিকাই বড় বলে ভোট-কুশলীকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন অধীরবাবু।
প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, জেলায় জেলায় ধর্ষণ এবং সিন্ডিকেট-রাজ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে চলেছে। নাবালিকাদের উপরে নির্যাতন উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। ধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনাতেই শাসক দলের কোনও নেতা বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম জড়িয়ে অভিযোগ আসছে, পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করছে। তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সিবিআই তদন্তের দাবি। অধীরবাবুর কথায়, ‘‘সিবিআই এলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। কিন্তু প্রশ্নটা হল, পুলিশের উপরে মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন কেন? কলকাতায় ভাল চিকিৎসা না হলে মানুষ যেমন আশা নিয়ে চেন্নাই, হায়দরাবাদ যান, সে রকম পুলিশে ভরসা নেই বলে সিবিআই তদন্তের দাবি বাড়ছে।’’ ধর্ষণ, খুন, সিন্ডিকেট সংঘর্ষ-সহ নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলার প্রতিবাদে এবং কর্মসংস্থানের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ইদের পরেই তাঁরা কর্মসূচি নিয়ে পথে নামবেন বলে শুক্রবার বিধান ভবনে প্রদেশ সভাপতি জানিয়েছেন।
পি কে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ দিন অধীরবাবু জানান, ভোট-কুশলীর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে দলের হাই কম্যান্ড প্রদেশ কংগ্রেসকে কোনও বার্তা দেয়নি। এই সূত্রেই অধীরবাবুর মন্তব্য, ‘‘দল ভাঙানোর খেলায় বড় ভূমিকা নিয়ে প্রশান্ত রাজনীতিতে অশান্ত করে তুলেছেন! বাংলা থেকে শুরু করে ত্রিপুরা, গোয়া বা মেঘালয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে তাঁর সংস্থা তৃণমূলে লোকজনকে যোগদান করিয়েছে। আবার বলছি, সাপুড়েকে যেমন সাপের ছোবল খেতে হয়, এই দল ভাঙানোর ধাক্কা তৃণমূলকেও সামলাতে হবে!’’ মেঘালয়ের তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা সম্প্রতি বলেছেন, পি কে-র কথায় তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। তার পরে পি কে-ই আবার কংগ্রেসকে পরামর্শ দিতে গিয়েছেন! একই সুর অধীরবাবুরও। তবে তাঁর সংযোজন, ‘‘উনি তাঁর প্রকল্প আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বেচতে গিয়েছিলেন। হাই কম্যান্ড সকলের কথাই শোনে, ওঁর কথাও শুনেছে। এই পর্যন্তই!’’ বিধান ভবনে এ দিন প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন অধীরবাবু, প্রদীপ ভট্টাচার্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy