Advertisement
E-Paper

কুড়মি সভায় আদিবাসী আবেগও উস্কে দিলেন

ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে শুক্রবার অরাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে কুড়মি সমাজের নেতাদের পাশাপাশি জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তাপস মাহাতোও অধীরকে সংবর্ধনা জানান।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:২৫
Share
Save

জঙ্গ‌লমহলে এসে আদিবাসী-মূলবাসী রাজনীতির আবেগ উস্কে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’-এর সংবর্ধনাসভায় অধীর জানালেন, আদিবাসীরাই দেশের প্রকৃত বাসিন্দা। তাঁদের বাদ দিয়ে দেশের বাকি সবাই অনুপ্রবেশকারী।

পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের কুড়মিদের আদিবাসী তালিকাভুক্তির দাবিতে গত ১৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরব হয়েছিলেন অধীর। বিষয়টি সংসদে নথিভুক্ত হয়। সে জন্যই এ দিন ঝাড়গ্রামে অধীরকে সংবর্ধনা দেয় কুড়মি সমাজ। ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে শুক্রবার অরাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে কুড়মি সমাজের নেতাদের পাশাপাশি জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তাপস মাহাতোও অধীরকে সংবর্ধনা জানান।

কুড়মিদের আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার দাবি বহু দিনের। এই দাবিতে জঙ্গলমহলে বহু আন্দোলন হয়েছে। দিল্লিতেও র‌্যালি-সভা করেছেন কুড়মিরা। গত লোকসভা ভোটের আগে কুড়মি সমাজের একাংশ বিজেপি-কে সমর্থন করেন। একাংশ আবার তৃণমূলের পাশে থাকেন। ভোটের পরে রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে কুড়মিদের একাংশ আদিবাসী কুড়মি সমাজ থেকে বেরিয়ে এসে পৃথক ‘কুড়মি সমাজ-পশ্চিমবঙ্গ’ গঠন করেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে কুড়মিদের দাবিকে হাতিয়ার করে জঙ্গলমহলে দলের রুগণ্‌ সংগঠন চাঙ্গা করতে তৎপর হয়েছে কংগ্রেস।

এ দিন কংগ্রেস সাংসদের উপস্থিতিতেই কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো নাম না-করে জঙ্গ‌লমহলের সাংসদদের ভূমিকার সমালোচনা করেন। পরে রাজেশ বলেন, ‘‘সংসদে অধীরবাবুর মতো আর কেউ আমাদের দাবি নিয়ে সরব হননি। তাই ওঁকে এ দিন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। আমরা রাজনীতির ছোঁয়া বাঁচিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য চাইছি।’’ এ দিন মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার আগে গরম ডুমু পিঠে খান সাংসদ। বক্তৃতা দেওয়ার সময় কবি মঙ্গল মাহাতোর লেখা কুড়মালি ভাষায় টুসু বিষয়ক কবিতাও পাঠ করেন।

সভায় অধীর জানান, মুশির্দাবাদ, মালদহের গঙ্গার তীরে বসবাসকারী চাঁই সম্প্রদায়কে আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন। কুড়মিদের দাবি নিয়েও সাধ্যমতো লড়বেন। কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর দেখা করানোরও আশ্বাস দেন অধীর।
এ দিন অবশ্য জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য কুড়মিদের মঞ্চে ওঠেননি। তিনি দর্শকাসনে বসেছিলেন। সুব্রত বলেন, ‘‘সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে অধীরবাবু সাংসদ হিসেবে এসেছিলেন। কুড়মি সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তাপস মঞ্চে ছিলেন।’’

AdhirRanjan Chowdhury Jhargram

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}