ফিরহাদ হাকিমে আক্রমণ অধীর চৌধুরীর। ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন কলকাতায় মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতায় এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মিরজ়াফরের পাল্টা কটাক্ষে এল ঘসেটি বেগম!
ফিরহাদ রবিবার বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদে দু’টি বিধানসভা আসন জিততে বিজেপিকে সাহায্য করেছিলেন অধীরবাবু। তাঁর সভায় লোক পাঠিয়ে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানিয়েছিল বিজেপি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নাম না করে ‘মিরজ়াফর’ কটাক্ষেও বিঁধেছিলেন তিনি। বিধান ভবনে সোমবার অধীরবাবু বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ডান হাত-বাঁ হাত আমার কথা বলেছেন। মিরজ়াফর বলেছেন। ওই মন্ত্রীকে বলতে চাই, মঞ্চে আপনার পাশে যে সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা ছিলেন, তাঁদের দেখেছেন? তাঁরা কংগ্রেসের খেয়ে, বড় হয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বেইমানি করে পালিয়ে গিয়েছেন। গদ্দারদের যদি মিরজ়াফর বলা হয়, তা হলে তাঁরা মিরজ়াফর নন?’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিজেপি-যোগ টেনে ফিরহাদ যে আক্রমণ করেছিলেন, তার জবাবে অধীরবাবুর মন্তব্য, ‘‘আমি মিরজ়াফর হলে বাংলায় বিজেপিও নিশ্চয়ই কোনও ঘসেটি বেগম পেয়ে গিয়েছে!’’ এই সূত্রেই তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূল ভাগাভাগির রাজনীতি করছে। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘দিদি’ও ইদানিং কিছু বলছেন না। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ আবার পাল্টা বলেছেন, ‘‘তিন দশক ধরে অত্যাচারিত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে যিনি সিপিএমের হাত ধরেছিলেন এবং গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ করতে চেয়েছিলেন, এ সব নিয়ে কোনও কথা তাঁর মুখে শোভা পায় না! সিপিএমের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতেই তৃণমূলের জন্ম দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy