নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রীরা সাধারণত ব্যর্থতা স্বীকার করেন না। নিতিন গডকড়ী আজ লোকসভায় দাঁড়িয়ে মানলেন, পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে গত পাঁচ বছর অনেক চেষ্টা করেও তিনি পথ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কমাতে পারেনি। দেশে গড়ে বছরে ৫ লক্ষ দুর্ঘটনা ঘটে। দেড় লক্ষ মানুষ মারা যান। নিতিনের আফশোস, পথ দুর্ঘটনায় তাঁর নিজের পা ভেঙে চার টুকরো হয়েছিল। কিন্তু চেষ্টা করেও তিনি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ৩.৫-৪ শতাংশ কমাতে পেরেছেন।
ব্যর্থতা স্বীকার করেই আজ ফের মোটর ভেহিকল (সংশোধনী) বিল লোকসভায় পেশ করে বিরোধীদের সমর্থন চেয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য কড়া আইনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গত লোকসভাতেও এই বিল সংসদে পাশ করাতে পারেননি নিতিন। আজও বিল পেশ করতেই এই বিলে রাজ্য সরকারের অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র।
অধীরের অভিযোগ, এই বিলে কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পারমিট, লাইসেন্সে রদবদল করার ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আরটিও-র বদলে ডিলারদের হাতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে। মহুয়া বলেন, এই বিলে লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরে তা নবীকরণের জন্য এক বছর সময় দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, কেউ এক বছর লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবেন।
নিতিন বলেন, রাজ্যের উপরে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র আইন আনলেও রাজ্যের তা গ্রহণ করা বা না-করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু পথ দুর্ঘটনা রুখতে কড়া আইনের যে দরকার, তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে নিতিন বলেন, দেশের ৩০ শতাংশ লাইসেন্স ভুয়ো। একই লোকের নানা শহরে লাইসেন্স রয়েছে। মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকার জরিমানায় কেউ ভয় পায় না। নতুন বিলে সব আইন ভাঙার ক্ষেত্রেই শাস্তি-জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy