—ফাইল ছবি।
ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সিনিয়র পর্যবেক্ষক হিসেবে অধীর চৌধুরীকে দায়িত্ব দিল এআইসিসি। মোট তিন জনের সিনিয়র পর্যবেক্ষক দল গড়া হয়েছে এআইসিসি-র তরফে। তার মধ্যে তারিক আনোয়ার ও ভাট্টি বিক্রমার্ক মাল্লুর সঙ্গে রয়েছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীরও। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই রাঁচী যাচ্ছেন বাংলার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সূত্রের খবর, সেখানে কাল, বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষকদের নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক রয়েছে।
সিনিয়র পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে অধীর মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘এআইসিসি যা দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করব। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক মসৃণ। নির্বাচনী সমঝোতায় কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমরা আশাবাদী।’’ জেএমএম-এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কও ভাল। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর স্ত্রী কল্পনার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রশ্ন কি ঝাড়খণ্ডে তাঁদের কাজে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে? অধীরের মতে, ‘‘তৃণমূল কী করবে, তাদের ব্যাপার। তবে এখানে মন্দির দর্শনে কালীঘাটের পান্ডা লাগবে না! জেএমএমের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক আগে থেকেই ভাল, হেমন্তের সঙ্গেও তা-ই।’’
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি যে রাজনৈতিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে, তাতে দায়িত্ব রয়েছে এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মূল দায়িত্ব অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের। তাঁকে সহায়তার জন্য রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। ঝাড়খণ্ডে গিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকও সেরে এসেছেন তিনি। গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালও। পড়শি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এ বার বাংলার রাজনীতিকদের ভূমিকা থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy