কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের জয়নগরকাণ্ডের আসামির। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মুস্তাকিন সর্দার নামে এক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বারুইপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এ বার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মুস্তাকিন। মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন করে মামলা করার অনুমতি চান মুস্তাকিনের আইনজীবী। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে মুস্তাকিন শাস্তি রদের আবেদন করেন। মামলাকারীর আবেদন, এই মামলায় তাড়াহুড়ো করে বিচার করা হয়েছে। তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় যে হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হয়, সেখানে কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। সেই সব কারণ দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন করেন মুস্তাকিন। বিচারপতি বসাকের বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী সোমবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছর ৪ অক্টোবর জয়নগর থানা এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ন’বছরের এক শিশুর দেহ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়েছিল প্রথমে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও ওঠে। এর পর গভীর রাতে বাড়ির কাছের একটি জলাজমি থেকে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার দেহ। তার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ৫ অক্টোবর ভোরে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিশ।
দেহ উদ্ধারের পর থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে এ রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করে পুলিশ। ঘটনার এক মাস পর বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে গত বছর ৫ ডিসেম্বর দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর শাস্তি ঘোষণা করেন তিনি। রায়দানের সময় বিচারক মুস্তাকিনের ফাঁসির নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন বিচারক চট্টোপাধ্যায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার, তদন্ত, ‘দ্রুত’ বিচার শেষ এবং সাজা ঘোষণা— গোটাটাই শেষ হয় ৬৪ দিনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy