ফাইল চিত্র।
স্কুল-কলেজ খুলেছে রাজ্যে। পঠনপাঠনের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তা নিয়েই বিভ্রান্তি রয়েছে। দেখা দিচ্ছে বিতর্কও। যার নজির হিসেবে খড়দহের পাতুলিয়া গার্লস হাই স্কুলের ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার এক শিক্ষিকার করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর এসেছিল খড়দহের পাতুলিয়া গার্লস হাই স্কুলে। শনি-রবিবার ছুটি। সোমবার স্যানিটাইজ় করে মঙ্গলবারই ফের স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়েই বিতর্ক। সূত্রের দাবি, ওই স্কুলে সম্প্রতি আর এক শিক্ষিকাও কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, “একই স্কুলে দু’জন শিক্ষিকা পর পর কোভিড আক্রান্ত হলে এত দ্রুত স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। অন্তত সাত দিন স্কুল বন্ধ রেখে এবং ওই শিক্ষিকার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদেরও কোভিড পরীক্ষা করে তার পরেই স্কুল খোলা উচিত। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের পরে কিছু দিনের জন্য যখন স্কুল খুলেছিল তখনও কিছু শিক্ষক ও পড়ুয়া করোনা-সংক্রমিত হন। তখন অন্তত সাত দিন ছুটি দিয়ে স্কুলকে কয়েক বার স্যানিটাইজ় করা হয়েছিল।”
খড়দহের ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এষা চক্রবর্তী বলেন, “আমি পুরো বিষয়টি উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এক দিন স্যানিটাইজ় করে পরের দিন স্কুল খুলতে। তাঁর নির্দেশ মতোই আমরা সোমবার স্যানিটাইজ করে মঙ্গলবার স্কুল খুলছি।”
ব্যারাকপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক শান্তনু সিংহ আবার বলছেন, “স্কুল শিক্ষা কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজ় করে স্কুল খুলে নজর রাখতে হবে, আর কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না। এই সংক্রান্ত পুরো রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি। তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এখানেই সরকারি নির্দেশের বিভ্রান্তির প্রশ্ন উঠেছে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “স্কুল খোলার সরকারি নির্দেশিকায় শুধু বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়ার জ্বর বা শরীর খারাপ হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। স্কুল কত দিন ছুটি রাখতে হবে, স্কুলে কাদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট নির্দেশ থাকলে স্কুলগুলির সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।” শল্য চিকিৎসক তথা এসএসকেএম হাসপাতালের কোভিড স্ট্র্যাটেজিক টিমের সদস্য দীপ্তেন্দ্র সরকার বলছেন, “কেউ মাস্ক ছাড়া পনেরো মিনিটের বেশি কোভিড আক্রান্তের কাছে থাকলেই সেই ব্যক্তির পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে। ওই স্কুলে এ রকম যদি কেউ থাকেন তা হলে তাঁর পরীক্ষার দরকার। না হলে অন্য কারও টেস্টের দরকার নেই। স্কুলে একসঙ্গে অনেকে কোভিড আক্রান্ত না-হলে স্যানিটাইজ করে স্কুল খোলা যেতেই পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy