সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আদালতের নির্দেশে শনিবার ফের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। তবে এ দিনও জেরায় তদন্তকারীদের সঙ্গে সন্দীপ কোনও সহযোগিতা করেননি বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ জুনিয়র চিকিৎসক তথা হাসপাতালের টিএমসিপি সংগঠনের নেতা আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার তাঁকে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, আর
জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে আশিস ও সন্দীপের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে সন্দীপের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত একাধিক নথি ও ল্যাপটপের তথ্যের ভিত্তিতে আশিসের সঙ্গে সন্দীপের আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। এর পরই দু'দফায় আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীদের দাবি, আশিসের মাধ্যমে আর জি কর হাসপাতালে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে
ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন সন্দীপ। আশিসের সুপারিশ অনুযায়ীই জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে পাশ-ফেলের সিদ্ধান্ত নিতেন সন্দীপ। দুজনের মধ্যে
আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট তথ্য সূত্র পাওয়া গিয়েছে।
সন্দীপ এবং আশিসের ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, সে ক্ষেত্রেও নানা অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। কয়েক জন জুনিয়র চিকিৎসক এবং আর জি কর হাসপাতালের কয়েক জন আধিকারিকের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, মেডিক্যাল কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সঙ্গেও আশিসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
এ দিন দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত সন্দীপকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের জেল সুপারের ঘরের পাশে একটি ঘরে জেরা করা হয়। জেরায় অধিকাংশ সময়েই সন্দীপ অসহযোগিতা করেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। পরশু সোমবার সন্দীপ ও আশিস সহ পাঁচ জন অভিযুক্তকে আলিপুর বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। সন্দীপের অসহযোগিতার বিষয়টি আদালতে বিশেষ ভাবে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy