জেনে নাও খেলার দুনিয়ায় কেরিয়ারের হালহদিস। আগামী ২১ অগস্ট।
ক্রীড়াজগত মানে তো শুধু মজা আর খেলাধুলো নয়, তা হয়ে উঠতেই পারে জীবনযাপনের অঙ্গও। মাঠের বাইরে অনেকখানি দায়িত্ব পালন মাঠের ভিতরকার খেলাধুলোকে অনেকটাই সহজ করে দেয়। খেলাধুলো ঘিরে যদি তোমার আগ্রহ-উন্মাদনা হয় অনেকখানি এবং তাকেই পেশা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখো, তবে তোমার জন্যই থাকছে স্পোর্টস কেরিয়ার অফফ দ্য ফিল্ডঃ ম্যানেজমেন্ট টু সাইকোলজি, ডায়েটেটিক্স টু ট্রেনিং।
এবিপি এডুকেশন আয়োজিত ক্যাম্পাসটুকেরিয়ার ২০২০ ওয়েবিনার সিরিজে পরবর্তী এই আলোচনা চক্রে নিখরচায় রেজিস্টার করো এখানে।
কখন: ২১ অগস্ট, বিকেল ৩টে।
কী নিয়ে: এবিপি এডুকেশন আয়োজিত এই ওয়েবিনারে থাকছে ক্রীড়াজগতের বিভিন্ন অন্য স্বাদের কেরিয়ারের হদিস এবং সেগুলি সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য।
যা থাকছে: খেলাধুলোর জগতে কেরিয়ার তৈরি নিয়ে সব রকমের তথ্য, মতামত ও পরামর্শ দেবেন আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। মানসিক ভাবে ভাল থাকা এক জন ক্রীড়াবিদের উপরে কতটা প্রভাব ফেলে এবং দলের ক্ষমতা ও পারফর্ম্যান্সের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা শেখার সুযোগ থাকবে। তথ্য মিলবে আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ, ফিটনেস এবং তার বিজ্ঞান নিয়ে। খেলাধুলোয় ডায়েটের প্রভাব কতটা এবং ফিটনেসের পাশাপাশি সঠিক পুষ্টিও কী ভাবে খেলায় জিততে সাহায্য করে, তা নিয়ে থাকবে পরামর্শ। পাশাপাশি আইপিএল-আইএসএল এর যুগে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, তারকা ক্রীড়াবিদদের নিয়ে কাজ, ইভেন্টের ব্যবসা এবং স্পন্সরশিপ প্রসঙ্গে আলোকপাত করবেন বিশেষজ্ঞেরা। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্বের ক্ষমতা এবং পেশাগত দক্ষতার বিকাশে ক্রীড়ার ভূমিকা নিয়েও থাকবে আলোচনা।
বক্তা যাঁরা:
তেনজিং নিয়োগী, সিইও, আল্টিমেট খো খো লিগ- হিন্দু কলেজ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তেনজিং স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। কাজ করেছেন টাইগার স্পোর্টস-এর মার্কেটিং বিভাগ, সেলেব্রিটি ম্যানেজমেন্ট সংস্থা গ্লোবোস্পোর্ট, সিএনবিসি-টিভি ১৮ স্পোর্টস স্পন্সরশিপ অ্যান্ড ইভেন্টস-এ উত্তর ভারতের মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব, টেন গলফ-এর মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনে। ২০১৭ সালে আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং-এ স্পোর্টস অ্যাডভাইসরি- সেগমেন্ট লিডার পদে আসীন হন। কাজ করেছেন বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্পোর্টস লিগ, স্পোর্টস রাইটস হোল্ডার এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে। আপাতত আগামী ২০২১ সালে ভারতের প্রথম পেশাদার খো খো লিগ সূচনার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তেনজিং।
পল ওয়ালশ, প্রতিষ্ঠাতা, জাঙ্গল ক্রোজ- বৃটিশ কূটনীতিক হিসেবে ২০০২ সালে কলকাতায় এসে থেকে এ শহরের বাসিন্দা। ২০০৪-এ কিছু বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রাগবি ক্লাব কলকাতা জাঙ্গল ক্রোজ প্রতিষ্ঠার সময়ে তিনি নিজেও ভাবেননি সেই উদ্যোগ এই উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব শেষের পরে এখানে ক্রীড়া, ব্যবসা ও সংস্কৃতির জগতে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। রাগবি ক্লাব ক্রমশ হয়ে উঠেছে সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান, যার কাজ স্কুল ও কলেজপড়ুয়াদের সহায়তা করা। ক্রীড়ার উন্নয়নে ভূমিকার জন্য জাঙ্গল ক্রোজ-এর খেলো রাগবি কর্মসূচি এখন সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। রাগুবিতে তার অবদানের কারণে পল নিজে পেয়েছেন মেম্বার অফ দি অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) সম্মান।
রনদীপ মৈত্র, স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ- ভারতে ন্যাশনাল স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রথম স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ রণদীপ একসঙ্গে সামলান বিভিন্ন গুরুদায়িত্ব। তিনি একাধারে আমেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজের তরফে ক্লিনিক্যাল এক্সারসাইজ কোচ; চেক ইনস্টিটিউটের কারেক্টিভ এক্সারসাইজ কোচ; এবং প্রশিক্ষিত গলফ বায়ো মেকানিস্ট। ভারতীয় ক্রিকেট দলে (২০০৪-০৫), ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে (২০০৬-১০), ইন্ডিয়ান গলফ স্কোয়াডে (১০১০-১৮) ফিটনেস কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। প্রাক্তন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার রণদীপের এন্ডরফিন্স নামে তিনটি কারেক্টিভ এক্সারসাইজ স্টুডিও রয়েছে কলকাতায়।
সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, প্রতিষ্ঠাতা, ডিরেক্টর এবং সিইও, হাই লাইফ ম্যানেজমেন্ট- তিন ধরনের খেলায় ক্যালকাটা ক্রিকেট অ্যান্ড ফুটবল ক্লাব (সিসিএফসি)-র অধিনায়কত্ব করা সৌরভ নিজের পেশাগত কেরিয়ার শুরু করেছিলেন চা এবং জাহাজ পরিবহন শিল্পক্ষেত্রে। তার পরে খেলার দুনিয়ায় ফিরে আসেন স্টার স্পোর্টস ইন্ডিয়ার মার্কেটিং-এর প্রধান হিসেবে। ২০০ সালে সিইও হিসেবে যোগ দেন ভারতের প্রথম স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থায়- কিংবদন্তী ক্রিকেটার সুনীল গাওস্করের সংস্থা প্রোফেশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (পিএমজি)-তে। ২০০৪ সালে কলকাতায় ফিরে গড়ে তোলেন নিজের সংস্থা হাই লাইফ ম্যানেজমেন্ট। এই সংস্থা কাজ করে খেলাধুলোর সূচনাস্তরে বিকাশ নিয়ে। ভারতীয় ফুটবলে শীর্ষস্থানীয় প্লেয়ার ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ‘বেস্ট অফ ইউ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিরেক্টর পদেও রয়েছেন সৌরভ।
অমিতাভ দাশগুপ্ত, প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর অমিতাভ শিক্ষানবীশ সাংবাদিক হিসেবে দ্য টেলিগ্রাফে যোগ দেন। সেখানে ২১ বছরের কেরিয়ারে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ক্রীড়া বিভাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। তারপর টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়ে কাজ করেছেন ১২ বছর। সেখানেই ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ২০২০-র শুরুতে অবসর গ্রহণ করেন। প্রায় সাড়ে তিন দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারের ক্রীড়াজগতের বহু উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতা কভার করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে উইম্বল্ডন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, এটিপি মিট, ডেভিস কাপ, এশিয়ান গেমস, স্যাফ গেমস, আইসিসি ওয়ার্ল্ডকাপ টি-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ, আইপিএল, রঞ্জি ট্রফি এবং ন্যাশনাল গেমস।
উপস্থিতির শংসাপত্র: সম্পূর্ণ ওয়েবিনারটিতে উপস্থিতির ভিত্তিতে মিলবে এবিপি এডুকেশনের শংসাপত্র। এই ওয়েবিনার, স্পোর্টস কেরিয়ার অফফ দ্য ফিল্ডঃ ম্যানেজমেন্ট টু সাইকোলজি, ডায়েটেটিক্স টু ট্রেনিং-এ অংশ নিতে রেজিস্টার করো এখানে।
সিরিজের অন্য ওয়েবিনারগুলিতে নিখরচায় রেজিস্টার করা যাবে এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy