(বাঁ দিক থেকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তনু ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
অনুমতি না নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দিরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা এবং অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সোমবার তিনি নিজেই উচ্চ আদালতে গিয়েছেন।
আদালতে শান্তনুর অভিযোগ, মন্দিরের তরফে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় কয়েক জন ভক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শান্তনুর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘গত ১১ জুন যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার পিছনে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসুরা। এই ঘটনায় পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা অনুমতিতে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকে ঠাকুরবাড়ির সম্মানহানি করেছেন। মতুয়াদের সম্মানহানি করেছেন।’’
গত ১১ জুন, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের সফর ঘিরে তুলকালাম বাধে। মতুয়াদের দু’পক্ষের গোলমাল, পরে পুরোদস্তুর বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের চেহারা নেয়। বিকেল ৪টে নাগাদ অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে ঢুকলে কিছু ক্ষণের জন্য গোলমাল থামে। বিজেপি হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরের ‘দখল’ নেওয়ায় অভিষেক সেখানে ঢোকেননি। পাশের গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দির এবং প্রয়াত ‘বড়মা’ বীণাপাণিদেবীর ঘরে শ্রদ্ধা জানিয়ে বেরোনোয় সময়ে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি চাইলে ৫ মিনিট লাগবে। কিন্তু আমরা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও-তে বিশ্বাস করি না। পুজো দিতে এসেছিলাম। তিন মাস পর আবার আসব। দম থাকলে আটকে দেখিয়ো!’’ তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনুর নিরাপত্তারক্ষীরা মন্দির চত্বরে ঢুকে মতুয়া ভক্ত এবং তৃণমূলের লোকজনকে মারধর করেছেন।
ঠাকুরবাড়ি চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালেও। দফায় দফায় মারামারি, রক্তপাত, পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ধস্তাধস্তি— কিছুই বাদ যায়নি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতাল থেকে কয়েক জনকে আটকও করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শান্তনুও পাল্টা দাবি করেছিলেন, অভিষেকই হাসপাতালে গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের লোকজনকে মারধর করিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে পুলিশ দলীয় কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে ধাক্কাও দিয়ে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। বনগাঁর পুলিশ সুপার জয়িতা বসু অবশ্য লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘শান্তনু ঠাকুর উস্কানিমূলক কথা বলছিলেন। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা হলে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy