অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহিত
র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে সরকার বদ্ধপরিকার, যাদবপুরকাণ্ডের আবহে স্পষ্টভাষায় তা জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। র্যাগিং রুখতে রাজ্য সরকার গোটা রাজ্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বলে জানালেন তিনি। একই সঙ্গে এই ঘটনায় নাম না করে বামেদের আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “যারা বুথে সিসিটিভি লাগাতে হাই কোর্টে যায়, তারা বলছে কলেজ চত্বরে সিসিটিভি লাগানো যাবে না।” এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “আমরা সিসিটিভি লাগাবই। কোনও পড়ুয়ার প্রাণ যেতে দেব না।”
‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মেয়ের হস্টেল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন এক ইডি আধিকারিক। সংস্থার কম্পিউটার ঘেঁটেই চলছিল হস্টেলের অনুসন্ধান। ১৬টি ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত বিতর্কে কলকাতা পুলিশকে এই ব্যাখ্যাই দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই ঘটনা নিয়ে এ বার ইডির উদ্দেশে তোপ দাগলেন অভিষেক। অভিযোগ করলেন যে, পরবর্তী তদন্তে ওই ফাইলগুলি খুঁজে পাওয়া গেলে সংবাদমাধ্যমে বলা হত, “অভিষেকের সংস্থার অফিস থেকে কলেজের লিস্ট উদ্ধার হয়েছে।”
“যারা বলেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেব না, তারা নিজেদের বুথে হেরেছে।” ঠাকুরনগরে তাঁকে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন অভিষেক।
২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর মেয়ো রোডের সভা থেকেও উঠল ‘জিতেগা ইন্ডিয়া’ স্লোগান। সোমবার অভিষেক ‘জিতবে কে?’ স্লোগান তোলার পরেই সমাবেশ থেকে আওয়াজ উঠে আসে, ‘ইন্ডিয়া’। উল্লেখ্য, বিজেপিকে রুখতে ২৬টি সমমনস্ক দল একজোট হয়েছে। বিরোধী এই জোটের নাম রাখা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসক তৃণমূলের তুলনায় বিরোধী দলগুলি যৌথ ভাবে দ্বিগুণ মনোনয়ন জমা দিয়েছিল বলে আবারও দাবি করলেন অভিষেক। তা সত্ত্বেও ‘মানুষের আশীর্বাদে’ ২০টি জেলাতেই তৃণমূল জয়ী হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘নবজোয়ার যাত্রা’য় বেরিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার যে প্রান্তেই ওই কর্মসূচির জন্য তিনি গিয়েছেন, সেখানেই দলের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের কর্মীদের সহায়তা পেয়েছেন বলে সোমবার মেয়ো রোডের জনসভা থেকে জানালেন অভিষেক।
“আমার পদবি মোদী নয়, আমার পদবি চোক্সি নয়, আমার পদবি মাল্য নয়। আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম অভিষেক। আমি পালানোর লোক নই।” বিরোধীদের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসার জন্য অভিষেক বিদেশে যাওয়ার পর বিরোধীদের একাংশ বিদ্রুপ করে তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই দেশ থেকে নানা সময়ে ‘পলাতক’ শিল্পপতিদের পদবি উল্লেখ করে পাল্টা আক্রমণ শানালেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy