নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে খোচা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের কর্মীদের অনুরোধে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এক হাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু সোমবারই অভিষেকের নাম উল্লেখ না করে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে নিরাপত্তার বহর নিয়ে।
উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির সভায় সোমবার দুপুরে উপস্থিত দলের নেতা-কর্মীদের একাংশকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অভিষেকদা, শুভেন্দুকে নিয়ে কিছু বলুন।’’ নাম না করে এর পরেই অভিষেকের মন্তব্য, ‘‘ও কি তৃণমূলের লোক ছিল? ও যত বিজেপিতে থাকবে, ততই তৃণমূলের ভাল।’’ তাঁর দাবি, শুভেন্দু যত দিন বিজেপিতে থাকবেন, ওই দলের চরম ক্ষতি হবে। অভিষেকের কথায়, ‘‘এমনিতেই শনির দশা চলছিল। এখন ও বিজেপিতে থাকায় কেতু ও রাহুর দশা ধরেছে!’’
দিলীপের টিপ্পনী, ‘‘শুভেন্দু কোথায় থাকবেন বা বিজেপি কাকে নেবে, তা নিয়ে ওঁর না ভাবলেও চলবে। উনি বরং ভাবুন, ওঁর দলের মহাসচিব কোথায় গিয়েছেন!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘একের পরে এক নেতা, মন্ত্রী হয় জেলে গিয়েছেন, নয় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। দলের ভোট করতে গিয়ে ব্যালট লুট হয়ে যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, কার দলে শনি, রাহু, কেতুর দশা চলছে! আমরা প্রতি বুথে ‘মন কি বাত’-এর অনুষ্ঠান করেছি। ওঁকে বলব, আপনিও বুথে তেমন কোনও কর্মসূচি করুন। তা হলে বুঝব কার সংগঠনের জোর কত!’’
পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ব্যালটে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন অভিষেক। জনসংযোগ যাত্রায় তিনি যেখানে সভা করতে যাচ্ছেন, সেখানেই বাক্স রেখে ভোট নেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের ওই কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক পুলিশি আয়োজন দেখে বিরোধীরা আগেই প্রশ্ন তুলছে, অভিষেকের সভা সামলাতেই এত পুলিশ থাকলে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা সামলানোর কাজ কে দেখবে? এই প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে এ দিন চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুলিশ বাহিনীকে তৃণমূল বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার মতো ব্যবহার করছে। ডিজি-র কাছে জানতে চেয়েছি, পঞ্চায়েতেরপ্রার্থী বাছাইয়ের কর্মসূচিতে এত পুলিশ মোতায়েনের জন্য তৃণমূল কি টাকা জমা দিয়েছে? রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা যখন ভেঙে পড়েছে, সেই সময়ে কোষাগারের টাকায় পুলিশকে শাসক দলকে পাহারা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে!’’ ভবিষ্যতে অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও পুলিশের একই ভূমিকা থাকবে কি না, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গেই তাঁর ইঙ্গিত, উত্তর না পেলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy