—ফাইল চিত্র।
ছটপুজো ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এ বার মুখ খুললেন তৃণমূলের যুব সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে টুইট করে অভিষেক লিখেছেন, ‘ধর্ম যার যার হলেও উৎসব সকলের। কিন্তু উৎসবের নামে হুজ্জুতি ও নৈরাজ্য করলে তা ধর্মকে ম্লান করে দেয়, এটাও ভুলে যাবেন না।’ এই ঘটনায় তিনি যে ‘ব্যথিত’, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেকের এই টুইটে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। কারণ, বন্ধ গেটের তালা ভেঙে ছটের পুজোর জন্য কিছু লোক রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে জলাশয় ও চত্বর নোংরা করার পরেও রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন এখনও কার্যত নীরব।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রশাসন যে ছটে জলাশয় ব্যবহার আটকাতে কোনও পদক্ষেপ করতে অনিচ্ছুক, তার ইঙ্গিত ছিল আগেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘মানুষ না জেনে-বুঝে অন্যত্র চলে গেলে কি পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা করব, নাকি গুলি করে মারব? ও সব পারব না। তার চেয়ে ভাল আমাকে গ্রেফতার করে রাখুন।’’ মমতার সেই ‘কথা’ রেখে রবীন্দ্র সরোবরও ছিল পুলিশহীন। ছটের জন্য দিনভর সরোবরের একের পর এক গেটের তালা ভাঙার গোলমাল চলতে থাকলেও পুলিশের দেখা মেলেনি সেখানে। তার পরে মমতা-সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা, তৃণমূলের মহাসচিব নীরব থাকার পরে এ বার অভিষেকের এই টুইটে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে শাসক দলের অন্দরেই।
আরও পড়ুন: করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির সম্বল এনআরসি
Religion belongs to an individual but a festival belongs to all. Let’s not also forget that vandalism in the name of festival only makes the religion look dull. #Pained #ChhathPooja
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 3, 2019
এ দিকে, এ দিনই কাশ্মীরে নিহত পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে কলকাতায় যুব তৃণমূলের মোমবাতি মিছিল হয়। মিছিলে অভিষেক ছিলেন না। জানানো হয়, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। মিছিলে দেখা যায়নি তেমন কোনও বড় নেতাকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy