Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Abhijit Sarkar

Abhijit Sarkar: চার মাস পরে অভিজিতের দেহ পাচ্ছে পরিবার

হামলার দিন অভিজিৎকে মারধর করে ফেলে রাখা হয়েছিল। তাঁর গলায় ছিল  তারের ফাঁস। সেই অবস্থাতেই অভিজিতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৯
Share: Save:

ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নিহত কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ সেই ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন থেকে মর্গে পড়ে আছে। সেটি এ বার তাঁর পরিবারের হাতে দেওয়ার জন্য বুধবার নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এ দিনেই ওই আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে অভিজিতের ডিএনএ পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় বারের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই দু’টি রিপোর্টের বিষয়ে সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেছিলেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ। আদালত সূত্রের খবর, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ওই মৃতদেহ অভিজিতেরই।

অভিযোগ, ২ মে, হামলার দিন অভিজিৎকে মারধর করে ফেলে রাখা হয়েছিল। তাঁর গলায় ছিল তারের ফাঁস। সেই অবস্থাতেই অভিজিতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিজিতের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘‘অভিজিতের মৃতদেহ এখনও নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই মৃতদেহ আত্মীয়পরিজনের হাতে তুলে দিতে হবে। দ্বিতীয় বারের ময়না-তদন্তের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

সোনারপুর থানার প্রসাদপুরে ভোট-পরবর্তী হিংসায় হারান অধিকারী নামে এক বাসিন্দা নিহত হন বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নেমে সিবিআই এ দিন হারানের পড়শিদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে। ওই
ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান সিবিআইয়ের এক কর্তা।

ভোট-পরবর্তী হিংসায় ডায়মন্ড হারবারের রামনগর খোর্দনহলা গ্রামে রাজু সামন্তের মৃত্যুর অভিযোগ আছে। কয়েক দিন আগে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়েছিল। এ দিনেও তারা ওই গ্রামে যায়। বেলা ১২টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে রাজুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। যে-ক্লাবে রাজু আড্ডা দিতেন, সেখানেও যান তাঁরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২৯ মে সকালে ফোন করে ডাকা হয়েছিল রাজুকে। তিনি সাধুরহাট বাজারে যান। সেখানে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মেরে
তাঁকে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায় কিছু দুষ্কৃতী। সরিষা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজুর বাবা রমাপ্রসাদ বলেন, ‘‘সে-দিন কী ঘটেছিল, কারা কোথায় মেরেছিল ছেলেকে, সিবিআই অফিসারেরা তা জানতে চেয়েছেন। ফোন করে কে ওকে ডেকেছিল, তা-ও জানতে চান। ছেলের রোগবালাই ছিল কি না, সেই খোঁজ নিয়েছেন তাঁরা।’’

ধীরেন্দ্রনাথ বর্মণের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে এ দিন আবার কোচবিহারের শীতলখুচিতে যায় সিবিআই। ধীরেন্দ্রনাথের বাড়ি চানঘাট এলাকায়। বাড়ির কাছেই একটি বাঁশঝাড় থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরিবারের লোকজন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে অবশ্য উঠে আসে, ধীরেন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন। ঠিক কী ঘটেছিল, তা খুঁজে বার করতেই ওই গ্রামে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। যিনি ময়না-তদন্ত করেছিলেন, সেই চিকিৎসককেও এ দিন ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Abhijit Sarkar BJP Post Poll Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy