আদালতের পথে কুরেশি। নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গি যোগের অভিযোগে কিছু দিন আগেই মহম্মদ সাদ্দাম এবং মহম্মদ সইদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তাদের জেরা করে পাওয়া গিয়েছিল আর এক জন সন্দেহভাজনের নাম। গত ৯ জানুয়ারি সন্ধেবেলা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা আব্দুল রাকিব কুরেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, সাদ্দামকে জেরা করেই কুরেশির নাম পাওয়া যায়। তাঁর দাবি, তদন্তে দেখা গিয়েছে, সাদ্দামের মতোই কুরেশি জঙ্গি মতাদর্শ প্রচারের কাজ করতেন। গোপনে সংগঠন বিস্তার বা স্লিপার সেল তৈরির উদ্দেশ্যে তরুণদের মধ্যে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)-এর মতাদর্শ প্রচারের কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। সাদ্দাম, সইদদের নিয়ে যে জঙ্গি মডিউল তৈরি হয়েছিল, তাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা জোগাতেন কুরেশি। সন্ত্রাসবাদে টাকা জোগানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের জন্য কুরেশিকে জেরা করা প্রয়োজন বলে আদালতে জানায় পুলিশ। কুরেশির পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। আদালত পুলিশের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং ওয়ালেট পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর নামে শপথ নিয়েছিল ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম। তার কাছ থেকে পাওয়া ডায়েরি ঘেঁটে এই তথ্য পাওয়া যায়। সূত্রের খবর, সাদ্দামের কাছে পাওয়া ডায়েরিতে সমস্ত লেখাই আরবি ভাষায়। সেখানে এক জায়গায় সাদ্দাম লিখেছে, আইএসের প্রতি সে তার আনুগত্য বজায় রাখবে। সংগঠনের হয় কাজ করবে। এ নিয়ে সে শপথও নিয়েছে। এই ডায়েরি থেকেই জঙ্গি সংগঠনে আর এক জনের যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মেলে। সেই সূত্রেই মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় কুরেশিকে। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অন্য রাজ্যেও নাশকতার ছক কষেছিল হাওড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy