আব্বাস সিদ্দিকী। ফাইল চিত্র
বিধায়ক ভাইকে নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ আটক করায় বিজেপি-তৃণমূলকে এক আসনে বসিয়ে আক্রমণ শানালেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকী। শনিবার দুপুরে কলকাতার ধর্মতলার গাঁধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। যদিও, পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু ভাইয়ের আটক হওয়া নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল-কে আক্রমণ করেন আব্বাস। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বিরোধী কোনও আন্দোলন করলেই তৃণমূল সরকারের যেন কষ্ট হয়। এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ বিরোধী আন্দোলন করার সময়ও বহু আন্দোলনকারীকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। তাহলে কী বুঝতে হবে চরমপন্থী রূপ হল বিজেপি, আর নরমপন্থী রূপ তৃণমূল?’’
আব্বাসের এমন অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তথা হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওর কথার কোনও গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই। বিজেপি-র বিরুদ্ধে তৃণমূল কীভাবে লড়াই করে তা বাংলার মানুষ দেখেছে। যাঁর বিরুদ্ধেই আন্দোলন হোক না কেন, তা পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই করতে হয়। আর করোনা মহামারির সময় তো সবকিছুর ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এক্ষেত্রে যিনি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন, তিনি অনুমতি নেননি।’’
রাজ্য বিজেপি-র সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘‘আসলে আব্বাস সিদ্দিকীর নিজেরই কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এই নির্বাচনের ফলাফলই তা বুঝিয়ে দিয়েছে। ভোটের আগে মাস কয়েক আগে তিনি মুসলমানদের হয়ে কথা বললেন। আর ভোটের সময় সেকুলার পার্টির জন্ম দিলেন। তাঁর এই প্রয়াসে তিনি তৃণমূলকেই সাহায্যেই করেছেন। কিন্তু এখন ভোট মিটে যাওয়ার পর সেই তৃণমূলের কাছেই আঘাত পেয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy