আব্বাস সিদ্দিকি ও রোহন মিত্র।
রবিবার সকালেই আসন রফা নিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে বাম-কংগ্রেসের বৈঠকে। আর সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জেতা কোনও আসনে প্রার্থী দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কলকাতায় আব্বাসের একটি ডেরায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র। বৈঠক শেষে রোহন পরপর দু’টি টুইট করেন। দ্বিতীয় টুইটে সোমেন তনয় লেখেন, ‘‘তিনি (আব্বাস) আশ্বস্থ করেছেন যে তাঁর নেতৃত্বাধীন ফ্রন্ট ২০১৬ সালে আমাদের সকল বিজয়ী প্রার্থীদের সমর্থন করবেন। আমি মনে করি ধর্মনিরপেক্ষ জোটের জন্য যা একটি ইতিবাচক সূচনা। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য রাজনীতির পট পরিবর্তন করতে পারে। আমি আশা করব, এই বার্তাটি যেন দ্রুতই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর কাছে পৌঁছে যায়।’’
আব্বাস বলেন, ‘‘রোহনবাবুর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে আমি বলেছি, যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়, তাহলে এ বারের ভোটে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জেতা কোনও আসনে প্রার্থী দেব না।’’ রবিবারের বৈঠকে প্রায় মিনিট ৪৫ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের প্রস্তাবিত দলের জোট কী ভাবে গড়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। জোড়া টুইট করে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের কথা নিজেই জানান রোহন। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমরা যা শুনি এবং দেখি তা দু’টি ভিন্ন জিনিস! আজ যুবসমাজের একজন প্রতিনিধি আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি জানালেন, তাঁর নেতৃত্বে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ফ্রন্ট তৈরি হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে জোটের রাস্তাও খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন’। প্রথম টুইটটি রোহন ট্যাগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, এআইসিসি নেতা মহম্মদ জাভেদ, বিপি সিং ও রাজ্য সংগঠনের পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদকে।
What we hear and what we see are two different things! Made an effort to meet the youth icon Abbas Siddiqui today, who has assured that the secular front he has created is open to a respectable understanding with @INCIndia @adhirrcinc @JitinPrasada @BPSinghINC_ @DrMdJawaid1 pic.twitter.com/w1NkRd3n9K
— Rohan S Mitra (@rohansmitra) January 17, 2021
He has assured that his front will support all our winning candidates from 2016, which I feel is a great start, it is a game changer for Bengal Politics. I will make sure this message reaches our leader Sonia Gandhi ji and @RahulGandhi ji at the earliest. pic.twitter.com/E5jrxD3UG1
— Rohan S Mitra (@rohansmitra) January 17, 2021
আরও পড়ুন: নীলবাড়ির লক্ষ্যে গেরুয়া রথ বঙ্গে, পাঁচ যাত্রার শেষে মেগা সমাবেশ
দ্বিতীয় টুইটি রোহন সরাসরি ট্যাগ করেছেন রাহুলকে। বৈঠক প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রোহন বলেন, ‘‘আমরা সমবয়সী। তাই আলোচনার সময় কোনও আড়ষ্টতা ছিল না। আব্বাস খোলাখুলি নিজের প্রস্তাব আমাকে জানিয়েছেন। আর আমি সেই জোটবার্তাকে দৃঢ় করতেই টুইট করে বিষয়টি সকলে জানিয়েছি।’’
রবিবার সকালে জোটের বৈঠকে অধীর ১৩০টি আসন দাবি করায়, বেঁকে বসেছে বামফ্রন্ট। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যর মধ্যস্থতায় কোনও রকমে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করা সম্ভব হয়। বামেরা যে কংগ্রেসের এই দাবি মানবে না, তা রবিবারের বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর ঘটনাচক্রে বিকেলেই গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জেতা আসনগুলিতে প্রার্থী না দেওয়ার কথা রোহনকে জানিয়েছেন আব্বাস। ১৬তম বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করে ৪৪টি আসন জিতে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা হন চাঁপদানীর প্রবীণ বিধায়ক আব্দুল মান্নান। সেই মান্নানই কংগ্রেসের পক্ষে আব্বাসের সঙ্গে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আপনার তথ্য সুরক্ষিত, স্টেটাস দিয়ে জানাল হোয়াটসঅ্যাপ
গত ৮ জানুয়ারি ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও এআইসিসিতে একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন মান্নান। আগামী ২১ জানুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ১০ দলের ফ্রন্টের ঘোষণা করবেন আব্বাস। এআইসিসি আব্বাসের দলের চরিত্র দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে। আর তার আগেই জোট প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে জয়ী আসনে প্রার্থী না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আগাম জোটবার্তা দিয়ে রাখলেন আব্বাস বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার সকালেই আসন রফা নিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে বাম-কংগ্রেসের বৈঠকে। আর সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জেতা কোনও আসনে প্রার্থী দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কলকাতায় আব্বাসের একটি ডেরায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র। বৈঠক শেষে রোহন পরপর দু’টি টুইট করেন। দ্বিতীয় টুইটে সোমেন তনয় লেখেন, ‘‘তিনি (আব্বাস) আশ্বস্থ করেছেন যে তাঁর নেতৃত্বাধীন ফ্রন্ট ২০১৬ সালে আমাদের সকল বিজয়ী প্রার্থীদের সমর্থন করবেন। আমি মনে করি ধর্মনিরপেক্ষ জোটের জন্য যা একটি ইতিবাচক সূচনা। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য রাজনীতির পট পরিবর্তন করতে পারে। আমি আশা করব, এই বার্তাটি যেন দ্রুতই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর কাছে পৌঁছে যায়।’’
আব্বাস বলেন, ‘‘রোহনবাবুর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে আমি বলেছি, যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়, তাহলে এ বারের ভোটে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জেতা কোনও আসনে প্রার্থী দেব না।’’ রবিবারের বৈঠকে প্রায় মিনিট ৪৫ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের প্রস্তাবিত দলের জোট কী ভাবে গড়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। জোড়া টুইট করে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের কথা নিজেই জানান রোহন। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমরা যা শুনি এবং দেখি তা দু’টি ভিন্ন জিনিস! আজ যুবসমাজের একজন প্রতিনিধি আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি জানালেন, তাঁর নেতৃত্বে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ফ্রন্ট তৈরি হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে জোটের রাস্তাও খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন’। প্রথম টুইটটি রোহন ট্যাগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, এআইসিসি নেতা মহম্মদ জাভেদ, বিপি সিং ও রাজ্য সংগঠনের পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদকে।
দ্বিতীয় টুইটি রোহন সরাসরি ট্যাগ করেছেন রাহুলকে। বৈঠক প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রোহন বলেন, ‘‘আমরা সমবয়সী। তাই আলোচনার সময় কোনও আড়ষ্টতা ছিল না। আব্বাস খোলাখুলি নিজের প্রস্তাব আমাকে জানিয়েছেন। আর আমি সেই জোটবার্তাকে দৃঢ় করতেই টুইট করে বিষয়টি সকলে জানিয়েছি।’’
রবিবার সকালে জোটের বৈঠকে অধীর ১৩০টি আসন দাবি করায়, বেঁকে বসেছে বামফ্রন্ট। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যর মধ্যস্থতায় কোনও রকমে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করা সম্ভব হয়। বামেরা যে কংগ্রেসের এই দাবি মানবে না, তা রবিবারের বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর ঘটনাচক্রে বিকেলেই গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জেতা আসনগুলিতে প্রার্থী না দেওয়ার কথা রোহনকে জানিয়েছেন আব্বাস। ১৬তম বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করে ৪৪টি আসন জিতে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা হন চাঁপদানীর প্রবীণ বিধায়ক আব্দুল মান্নান। সেই মান্নানই কংগ্রেসের পক্ষে আব্বাসের সঙ্গে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৮ জানুয়ারি ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও এআইসিসিতে একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন মান্নান। আগামী ২১ জানুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ১০ দলের ফ্রন্টের ঘোষণা করবেন আব্বাস। এআইসিসি আব্বাসের দলের চরিত্র দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে। আর তার আগেই জোট প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে জয়ী আসনে প্রার্থী না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আগাম জোটবার্তা দিয়ে রাখলেন আব্বাস বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy