আবাস যোজনার বাড়িতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! —নিজস্ব চিত্র।
বৃদ্ধার আবাস যোজনার বাড়ি ‘দখল’ করে তৃণমূলের পার্টি অফিস চলছিল বছরের পর বছর ধরে। নানা দরজায় কড়া নেড়েও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ বিডিওর কাছে নালিশ করেই কাজ হল! তাঁর উদ্যোগেই বাড়ি ফিরে পেতে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের সেই বৃদ্ধা পুষ্পা চক্রবর্তী।
বৈকন্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোডের বাসিন্দা পুষ্পার বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছিল ২০১৯ সালে। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাস। পুষ্পার অভিযোগ, পর পর দু’বছর নিয়মিত ভাড়াও পেলেও তার পর থেকে আর বা়ড়ি ভাড়া পাচ্ছিলেন না তিনি। অথচ, ঘরটি দখল করে দিব্যি চলছে পার্টি অফিস!
পুষ্পার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তিনি এখন শয্যাশায়ী। বাড়িতে একাই থাকেন। মাঝেমধ্যে বোন মমতা তাঁকে দেখতে যান। মমতা জানান, আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন পুষ্পা। বাড়ি ভাড়ার জন্য একাধিক বার মিতাকে বলা হয়েছে। কিন্তু টাকা তো মেলেইনি। উল্টে হুমকি দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ গোটা বিষয়টি বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিওকে জানিয়েছেন পুষ্পা। বিডিওর দফতর সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়ে পঞ্চায়েতকেই তদন্তের দায়িত্ব দেন বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস। পঞ্চায়েত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়। তার ভিত্তিতে বুধবার বিডিও দফতরে বৈঠক হয়। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান মনুশ্রী মণ্ডল, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা, পুষ্পা এবং মমতা ছিলেন।
বৈঠকে শেষে বিডিও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের প্রাথমিক তদন্তের পর দ্রুত শুনানি হয়েছে। দ্বিতীয় শুনানির পর সব সমস্যা মিটে যাবে। পার্টি অফিসের নামে দখল করে রাখা ঘরটি ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ পুষ্পা ও মমতা বলেন, ‘‘১৫ দিনের মধ্যে দখল করে রাখা ঘর ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বিডিও অফিসের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিতা দাস ঘর ছেড়ে দেবেন বলে বৈঠকে জানিয়েছেন।’’ যদিও মিতা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy