—ফাইল চিত্র।
গ্রামোন্নয়নে কেন বরাদ্দ দিচ্ছে না কেন্দ্র, তা নিয়ে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে সরব তৃণমূল সরকার। তৃতীয় এনডিএ সরকারে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী বদল করেছে কেন্দ্র। তাতে বরাদ্দের জট কাটার আশা করছে রাজ্যও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ফের এক বার কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও রাজ্যের অভিযোগ, বরাদ্দ না ছেড়ে অকারণে কালক্ষেপ করছে দিল্লি।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যে বার্তা রাজ্য পেয়েছে, তাতে একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ), প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা-সহ ১২টি গ্রামীণ প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের পাঠানো দল। রাজ্যের ১৯টি জেলায় ঘুরে অন্তত তিনটি করে ব্লকের ১০টি করে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ সরাসরি গিয়ে দেখবে তারা। কেন্দ্রের বার্তা—জেলাশাসক, জেলাপরিষদের সিইও-সহ আধিকারিকদের হাজির থাকতে হবে কেন্দ্রীয় দলের জন্য। একাধিক দফায় তারা বৈঠক করবে জেলা-কর্তাদের সঙ্গে। অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা-যাচাই সেরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে রিপোর্ট দেবে তারা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই একশো দিনের কাজের প্রকল্প, আবাস যোজনার বরাদ্দ আটকে রয়েছে। রাজ্যের অভিযোগ, পাওয়া যাচ্ছে না সড়ক যোজনার বরাদ্দও। ফলে বরাদ্দ না দিয়ে কেন কেন্দ্রীয় দল আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নবান্ন। যদিও কেন্দ্রের দাবি, এই সফর ২০২৪-২৪ আর্থিক বছরের (ফেজ়-১) নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “১২০টির বেশি দল রাজ্যে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তাঁরা যা প্রশ্ন তুলেছেন, তার জবাব দেওয়া হয়েছে। এমনকি, আমরা কী পদক্ষেপ করেছি, তারও যাচাই হয়েছে। তার পরেও অনুমোদন দিয়েও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ সব ছুতো। এর মধ্যে নতুনত্ব নেই। আবার তা করছে। নির্বাচনের পরে শুভবুদ্ধির উদয়ও হয়নি দেখা যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, আবাস এবং একশো দিনের কাজের প্রকল্প খতিয়ে দেখতে অতীতে অনেকবারই কেন্দ্রের দল ঘুরে গিয়েছে রাজ্যে। এফআইআর করে নয়ছয় হওয়া টাকা উদ্ধার-সহ উপভোক্তা তালিকা সংশোধনের একাধিক সুপারিশ করে তারা। রাজ্যের দাবি, সেই সব পদক্ষেপ করে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়াও হয়েছিল। তার পরেও আটকে রয়েছে বরাদ্দ। এখন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী হয়েছেন শিবরাজ সিংহ চৌহান। তিনি প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। এ রাজ্যও তেমন বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন বকেয়া ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে। তার পরেও কেন্দ্রীয় দলের আসার বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy