—প্রতীকী চিত্র।
পুলিশকর্তাদের নামে ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়েছিল। সেই প্রোফাইল থেকে মেসেজ পাঠিয়ে অধস্তন আধিকারিকদের থেকে টাকা চাওয়া হত। ভিন্ রাজ্যে ঘটেছিল এমন ঘটনা। এ বার এ রাজ্যেরও এক পুলিশকর্তার নামে ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে বিধাননগরের পুলিশ। রাজস্থানে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রহিশ খান। তার বাড়ি রাজস্থানের আলওয়ার জেলায়। সেখানে বসেই সে এ রাজ্যের পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের ভুয়ো প্রোফাইল সমাজমাধ্যমে খুলেছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি সম্প্রতি নজরে আসে বিধাননগর পুলিশের। সমাজমাধ্যমে ওই প্রোফাইল দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তারা ডিজি-র অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, প্রোফাইলটি ভুয়ো। এর পরেই রহিশের খোঁজ শুরু করে বিধাননগরের পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও এ রাজ্যের ডিজি-র নাম করে সে কাউকে প্রতারিত করতে পারেনি বলেই দাবি পুলিশের। তদন্তকারীরা জানান, ধৃত জেরায় স্বীকার করেছে যে, সে ডিজি-র ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে প্রতারণার ছক কষছিল।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে, কেরল ও কর্নাটকের কয়েক জন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাও পেয়েছে পুলিশ। ভুয়ো প্রোফাইলের মাধ্যমে পুলিশকর্তা সেজে অধস্তন আধিকারিকদের মেসেজ করে সে জানাত, জরুরি ভিত্তিতে তার মোটা টাকার প্রয়োজন। দু’-এক দিনেই সেই টাকা সে ফেরত দেবে। আধিকারিকেরা বুঝতে না পেরে টাকা দিয়ে দিতেন। তার পরে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন না।
বিধাননগরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ঊর্ধ্বতন আধিকারিক আর্থিক সাহায্য চাইলে অধস্তনেরা তো আপত্তি করতে পারেন না। তাই তাঁরা বিশ্বাস করে ঠকতেন। ধৃত অঙ্কের স্নাতক। সে যেখানকার বাসিন্দা, ওই এলাকায় এই ধরনের প্রতারণার চাঁইয়েরা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy