সিবিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিনয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির জন্য বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে আর্জি জানানো হয়েছিল।
ফাইল চিত্র।
আসানসোল ও কলকাতা: গরু পাচার মামলায় নাম জড়ানোর পরেই তিনি ভানাটু দ্বীপে গা-ঢাকা দেন বলে তদন্তকারীদের ধারণা। এ-হেন বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে এ বার কয়লা চুরির মামলাতেও জামিন-অযোগ্য পরোয়ানা জারি করল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।
সিবিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিনয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির জন্য বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে আর্জি জানানো হয়েছিল। আইনজীবীদের একাংশ জানান, কয়লা চুরির মামলায় আদালত বুধবার বিনয়ের বিরুদ্ধে ওই পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে তা রূপায়ণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, এই পরোয়ানা জারির পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বিনয়ের আরও কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। গোটা বিষয়টি দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে জানানো হয়েছে। এর আগে গরু পাচার মামলাতেও বিনয়ের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই তিনি পলাতক বলে গোয়েন্দা শিবিরের খবর।
সিবিআইয়ের দাবি, গত ডিসেম্বরে বিনয় দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা রেখে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ভানাটু নামে একটি দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিচ্ছেন। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান। সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “বিনয়কে এ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর অবস্থানের বিষয়ে সজাগ করা হয়েছে ইন্টারপোলকেও। কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে বিনয় অন্যতম অভিযুক্ত। মূলত তাঁর মাধ্যমে পাচার চক্রের লাভের বড় অংশ প্রভাবশালী কিছু লোকের কাছে পৌঁছেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy