— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিবিএসই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে শুরু হতে চলেছে ‘স্কোয়া’ (এসকিউএএ) বা ‘স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাশিয়োরেন্স’। দেশ জুড়ে সিবিএসই স্কুলগুলির মূল্যায়নের জন্য বেশ কিছু মাপকাঠির মাধ্যমে স্কোয়া-র নম্বর নির্ধারণ হবে। অর্থাৎ, স্কোয়া-য় প্রাপ্ত নম্বর বলে দেবে সেই স্কুলের মান কেমন। সেই নম্বর অনুযায়ী দেশ জুড়ে সিবিএসই স্কুলগুলির ‘র্যাঙ্ক’ নির্ধারিত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন স্কুলের অধ্যক্ষেরা। কয়েকটি স্কুল তাদের এই মান নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিটি স্কুলের তাদের স্কোয়া-র মান নির্ধারণ করে সিবিএসই বোর্ডকে পাঠানোর কথা।
সিবিএসই স্কুলগুলির অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, শুধু পড়াশোনার মান নয়, স্কুলের সার্বিক মানের উপরে এই স্কোয়া-র পয়েন্ট নির্ধারিত হবে। সিবিএসই তৈরি করে দিয়েছে ‘অ্যানুয়াল পেডাগজিক্যাল প্ল্যান’। সেই সঙ্গে প্রতিটি স্কুলকে নিজেদের স্কোয়া-র জন্য একটি
রূপরেখা তৈরি করতে হবে। স্কুলের প্রশাসনিক কাজকর্মের মান থেকে শুরু করে খেলাধুলো— বিচার্য হবে সবই। পড়াশোনার বাইরে আর কী কী স্কুলের পড়ুয়াদের শেখানো হয়, তাদের শিক্ষামূলক ভ্রমণ করানো হয় কি না, পড়ুয়াদের চরিত্র গঠন
কী ভাবে করা হচ্ছে, স্কুলের নানা ধরনের কর্মসূচিতে সমস্ত পড়ুয়াকে নেওয়া হয় কি না, সব কিছুর উপরেই নম্বর থাকবে। এ সবের সার্বিক মানের উপরে একটি স্কুলের স্কোয়া-র মান নির্ধারিত হবে।
দক্ষিণেশ্বরের জি ডি গোয়েন্কা পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষা সুজাতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্ত স্কুলের মান নির্ধারণ কিন্তু একই ভাবে হবে না। যেমন, দার্জিলিঙের একটি স্কুলের স্কোয়া-র মান নির্ধারণ করতে গেলে যে যে সূচক মানা হবে, রাজস্থানের একটি স্কুলের সঙ্গে তা মিলবে না। আমরা আমাদের স্কুলে ইতিমধ্যেই স্কোয়া-র মান নির্ধারণের কাজ শুরু করেছি। তা শীঘ্রই সিবিএসই বোর্ডকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুলগুলির এই ধরনের মূল্যায়ন করার কথা নতুন জাতীয় শিক্ষা-নীতিতে বলা হয়েছে। নতুন বছর থেকেই দিল্লির সিবিএসই বোর্ডের প্রতিনিধিরা এসে এই স্কোয়া-র নম্বর নির্ধারণের পদ্ধতি যাচাই করে যাবেন। যে
হেতু পুরোটাই সিবিএসই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে, তাই স্কোয়া-র নম্বর নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণ নেই বলেই মনে করছেন অধ্যক্ষেরা। সুজাতার মতে, ‘‘প্রতিটি স্কুলের নামের পাশে তাদের স্কোয়া-র নম্বর লেখা থাকলে অভিভাবকদেরও একটা সামগ্রিক ধারণা হবে স্কুলের মান সম্পর্কে। পড়ুয়াদের স্কুলে ভর্তির সময়ে তা কাজে আসতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy