Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Financial Fraud

রাশিয়ায় ডাক্তারি পড়াতে চেয়ে প্রতারণার শিকার, গ্রেফতার এক

রাশিয়ার মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় চার লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের প্রতারণা দমন বিভাগের গোয়েন্দারা।

An image of Financial Fraud

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৯
Share: Save:

ছেলেকে রাশিয়ার মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পড়াতে চেয়েছিলেন বাবা। আর সেই ইচ্ছে পূরণের মাসুল দিলেন প্রতারকের পাল্লায় পড়ে। খোয়ালেন তিনি কয়েক লক্ষ টাকা।

রাশিয়ার মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় চার লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের প্রতারণা দমন বিভাগের গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার শিবপুর থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্রের খবর, গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা প্রশান্ত পয়ড়া একটি বিজ্ঞাপন দেখেন, রাশিয়ার নর্দার্ন স্টেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস-এ ভর্তি চলছে। ছেলে পরিচয় পয়ড়াকে সেখানে ভর্তি করানোর জন্য সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে প্রশান্ত আসেন সুমনের পার্ক স্ট্রিটের অফিসে। অভিযোগ, রাশিয়ার ওই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস কোর্সে পরিচয়কে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রশান্তের থেকে প্রায় চার লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা নিয়ে নেন সুমন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ছেলের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির নথিও দেন বলে দাবি। কিন্তু তার পরেও পরিচয় রাশিয়ার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। অভিযোগ, সুমন প্রশান্তকে টাকাও ফেরত দেননি। এর পরেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুমন-সহ কয়েক জনের নামে পার্ক স্ট্রিট থানায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন প্রশান্ত।

পার্ক স্ট্রিট থানার এই মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের প্রতারণা দমন শাখা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন সুমনকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত যে নথি সুমন পরিচয়কে দিয়েছিলেন, তা ভুয়ো। পুলিশ সূত্রের খবর, এই আর্থিক প্রতারণার পিছনে একটি চক্র কাজ করছে। সেই চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy