কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সফরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নবান্ন।
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা জানতে রাজ্যে আসা শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সঙ্ঘাত নতুন নয়। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সফরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নবান্ন। প্রশাসন সূত্রে খবর, মূলত গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে, তা রাজ্যে সঠিক ভাবে এগিয়েছে কি না, তা-ই খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বুধবার কলকাতায় পৌছচ্ছে। প্রথমেই তাদের যাওয়ার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে আগামী জানুয়ারি মাসে বসবে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে সেখানে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর কী কী বিষয়ে কাজ করেছে, তা দেখবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলটি।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাজের পাশাপাশিই দেখা হবে গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, পরিশ্রুত পানীয় জল, গ্রামীণ স্থানীয় প্রশাসনের পরিকাঠামো ঠিকঠাক ভাবে গড়া হয়েছে কি না। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সে দিকেই নজর দেবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘গ্রামসড়ক যোজনা, আবাস যোজনা, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের অর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোই মূলত দেখবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।’’ বুধবার সরেজমিনে ওই বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করার পর বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
সূত্রের অনুমান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বৈঠক করতে পারেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পঞ্চায়েত সচিব এম ভি রাও এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তর সঙ্গে। তবে প্রশাসনিক মহলে ওই বৈঠক নিয়ে মৃদু উদ্বেগও রয়েছে। উদ্বেগ, কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের নাম পশ্চিমবঙ্গে সরকার বদলে দিয়েছে, এই মর্মে বিজেপি নেতারা যে অভিযোগ তোলেন, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন কি না। তবে সেক্ষেত্রে পাল্টা যুক্তিও রেখেছে নবান্ন। প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির খরচ ৯০ বহন করত কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর জমানায় সেই সব প্রকল্পেরই জন্য কেন্দ্র দেয় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ অর্থ। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পগুলিতে রাজ্য সরকার যখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ অর্থ খরচ করছে, তখন প্রকল্পের নাম বদল করলে আপত্তি থাকার কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy