হাসপাতাল চত্বরে পড়ে রয়েছে নিথর দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন অনেকেই। যাওয়া-আসা করছেন চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা। কিন্তু কেউ ভ্রুক্ষেপই করলেন না যে, পাশে এক প্রৌঢ়ার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে! শুক্রবার এমনই ছবি দেখা গেল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত প্রৌঢ় ভবঘুরে ছিলেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে হাসপাতাল চত্বরে দেখা যাচ্ছিল। এলাকার লোকেদের থেকে চেয়েচিন্তে খাবার সংগ্রহ করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও তাঁকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। পরে তাঁকে দেখা যায় হাসপাতালের গেটের সামনে শুয়ে থাকতে। হাসপাতাল কর্মীদের একাংশের দাবি, শুক্রবার ভোরেও যখন প্রৌঢ়কে হাসপাতালের গেটের সামনে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, তখনও জীবিতই ছিলেন তিনি। পরে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা বোঝা যায়নি বলেই দাবি তাঁদের। যদিও স্থানীয়দের প্রশ্ন, সকাল থেকে হাসপাতালের গেটের সামনে অন্তত দু’-তিন ঘণ্টা ধরে এক জনের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে, অথচ কারও নজরেই এল না? এক স্থানীয়ের কথায়, ‘‘হাসপাতালের গেট দিয়েই তো চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীরা যাতায়াত করেন। তাঁদের চোখে পড়ল না যে, এক জন মরে পড়ে রয়েছেন। তাঁরা কেউ বুঝতেই পারলেন না?’’
বিষয়টি নিয়ে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ আঁটলেও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল দাস বলেন, ‘‘এ ভাবে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন, এটা কখনওই কাম্য নয়। কিন্তু ওই ভবঘুরে প্রায়শই হাসপাতাল চত্বরের একটি চাতালে শুয়ে থাকতেন। তাই হয়তো চিকিৎসক বা চিকিৎসাকর্মীরা বুঝতে পারেননি যে, তিনি গুরুতর অসুস্থ বা মারা যেতে পারেন। বিষয়টি যখন নজরে এসেছে তত ক্ষণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy