Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Banking Services

নালিশ জানিয়েও সুরাহা অমিল, হন্যে ব্যাঙ্ককর্মী

গৌরব জানান, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওম্বুডসপার্সন, কোথাও তাঁর অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ গ্রাহকদের একাংশের প্রশ্ন, খোদ ব্যাঙ্ক অফিসারেরই যদি এই দশা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩৬
Share: Save:

বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে সাধারণ গ্রাহকদের নানা অভিযোগ আকছার শোনা যায়। সেই অভিযোগের সুরাহা করতেও রীতিমতো কালঘাম ছোটে বলেও অভিযোগ। এ বার একই অভিজ্ঞতা খোদ এক ব্যাঙ্ককর্মীর। গৌরব সাহা নামে ওই ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অফিসার। অন্য একটি ব্যাঙ্কে লকার সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে ঘুরছেন তিনি। গৌরব জানান, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওম্বুডসপার্সন, কোথাও তাঁর অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ গ্রাহকদের একাংশের প্রশ্ন, খোদ ব্যাঙ্ক অফিসারেরই যদি এই দশা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?

গৌরব জানান, ২০২০ সালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লেক গার্ডেন্স শাখায় স্ত্রীর সঙ্গে একটি যৌথ লকার খুলেছিলেন এবং তাতে দু’জনেরই নানা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। ২০২২ সালে পারিবারিক গোলযোগের জেরে গৌরব এবং তাঁর স্ত্রী দু’জনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২৩ সালে ৮ মার্চ গৌরব লেক গার্ডেন্সের ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন যে ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে লকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব জিনিসপত্র খালি করা হয়েছে। গৌরবের অভিযোগ, ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী যৌথ লকার বন্ধ করার ক্ষেত্রে দু’জন মালিককেই জানানো প্রয়োজন এবং অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু লকার বন্ধ করার যে নথি তাতে তাঁর স্বাক্ষর নেই। লকারে থাকা মূল্যবান জিনিসও উধাও। এই পরিস্থিতিতে তিনি প্রথমে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং লেক থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু ব্যাঙ্ক বা পুলিশ, কেউই অভিযোগে আমল দেয়নি। তারপরে ২০২৩ সালের মে মাসে তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওম্বুডসপার্সনের দফতরে অভিযোগ জানান। কিন্তু সেই অভিযোগ একতরফা ভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ফের অভিযোগ জানান তিনি। সব নথিপত্রও জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রায় ছ’মাস কেটে গেলেও অভিযোগ পড়েই আছে। গৌরবের দাবি, তিনি বারবার ওম্বুডসপার্সনের দফতরে যোগাযোগ করেছেন। শেষমেশ পুজোর আগে তাঁকে একবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সদর্থক কোনও বার্তা তিনি পাননি। আগামিকাল, শুক্রবার ফের তাঁকে ওম্বুডসপার্সনের দফতরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে দিনও অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Bank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy