কার্টুন: শৌভিক দেবনাথ
বাছুরের লাথির চোটে স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরেই ঢুকল সূচ। তার পর থেকে জ্বর, গা-ব্যথা। এমন উপসর্গ নিয়ে কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ ভর্তি হয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের নয় জন ‘প্রাণী মিত্র, প্রাণী বন্ধু’ কর্মী। তাঁদের দাবি, বাছুরকে টিকা দিতে গিয়ে তাঁরাই ব্রুসেলোসিস রোগে আক্রান্ত!
২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর গবাদি পশুকে ‘ব্রুসেলোসিস’ (বন্ধ্যাত্বকরণ)-এর টিকা দেওয়া কর্মসূচি ছিল রাজ্যে। ওই কর্মসূচি চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এসটিএম-এ ভর্তি হতে আসা এক পশুস্বাস্থ্যকর্মীর। তাঁর কথায়, ‘‘শরীরে সূচ ফোটানোর সময় স্বাভাবিক ভাবেই বাছুরেরা ছটফট করে। তেমনই এক বাছুরের লাথির চোটে সেই সময় আমাদের শরীরেই সূচ ঢুকে গিয়েছে। মনে হচ্ছে বন্ধ্যাত্ব রোগে আক্রান্ত হয়েছি।’’
আর এক পশুস্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে টিকা দেওয়ার কাজে পাঠানো হয়েছে আমাদের। টিকা দেওয়ার সময় যে গ্লাভস পরে থাকি, তা-ও নিম্নমানের।’’
গা-ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখার মতো একাধিক উপসর্গ নিয়ে প্রথম নদিয়ার এক ব্যক্তি এসটিএম-এ ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক আহমেদ আলি। ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি সৌমিত্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জন ভর্তি হয়েছেন এসটিএম-এ। শুক্রবার যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়ার এক জন আর পূর্ব বর্ধমানের এক মহিলা।’’
এসটিএম-এর ডিরেক্টর শুভাশিস কমল গুহ বলছেন, ‘‘গা-ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখার উপসর্গ নিয়ে অনেকেই এসেছেন। অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়েও এসেছেন। তাঁদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদৌ তাঁরা কোনও রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy