মেমারিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র
কালীপুজো দেখতে বেরিয়ে দক্ষিণবঙ্গে দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সাত জনের। তাঁদের মধ্যে চার জন পুলিশের গাড়ির চালক। রবিবার রাতে দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এবং পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকায়।
পূর্ব বর্ধমান পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের বিধানপল্লির বাদল সরকার (৪০), হুগলির গোঘাটের শ্যামবাটির বিশ্বজিৎ সামুই (৫০), উত্তর চব্বিশ পরগনার টিটাগড়ের অনুপকুমার বালা (৪২) ও হুগলির আরামবাগের প্রবীরকুমার হাটি (৫২) গাড়ি নিয়ে মেমারির কালীপুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। চার জনই পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, পালসিট উড়ালপুলের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে সামনে থাকা বালিবোঝাই একটি ট্রাক আচমকা ব্রেক কষে তাঁদের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কর্মীদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ সামলাতে না পেরে সজোরে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে।
তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছেন, ট্রাকের সঙ্গে গাড়িটির মুখোমুখি ধাক্কা লেগেছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ মেমারি থানায় ওই ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে নিয়ম বিরুদ্ধ ভাবে গাড়ি চালানো ও অসতর্কতার কারণে চার জনের মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হলেও চালককে ধরতে পারেনি পুলিশ।
ওই রাতেই পাড়া থানার ফুসড়াবাইদ গ্রামের তিন কাঠমিস্ত্রি—দীনেশ কুম্ভকার (৩১), আদিত্য মাহাতো (৪১) ও জয়ন্ত মাহাতো (১৮) মোটরবাইকে চেপে রঘুনাথপুরের মৌতোড়ে কালীপুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। সোমবার সকালে গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে রঘুনাথপুর-চন্দনকেয়ারি রাজ্য সড়কে, আলকুশা গ্রামের কাছে রেলসেতুর নীচে তাঁদের দেহ পাওয়া যায়। রেল পুলিশের অনুমান, সম্ভবত সেতুতে ওঠার মুখে বাঁকের কাছে মোটরবাইকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁরা প্রায় ৫০ ফুট নীচে আছড়ে পড়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy