Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ৫৭ জন পড়ুয়া

উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মের বাইরে গিয়ে তো কিছু করতে পারি না! পড়ুয়াদের সেকথাই বললাম। ওঁরা সামনের বারের জন্য প্রস্তুতি নিক।’’

পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি:স্বাতী চক্রবর্তী।

পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি:স্বাতী চক্রবর্তী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া অবস্থানের সামনে পিছু হটলেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনীয় ৫৫ শতাংশ উপস্থিতির হার না থাকায় স্নাতকোত্তরের বাংলা বিভাগের ৫৭ জন পড়ুয়াকে এবার আর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা ছ’মাস বাদে পরের সেমেস্টারের প্রস্তুতি নিক। তবে যুক্তিযুক্ত কারণ দেখানোয় ৯ জন ছাত্রকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মের বাইরে গিয়ে তো কিছু করতে পারি না! পড়ুয়াদের সেকথাই বললাম। ওঁরা সামনের বারের জন্য প্রস্তুতি নিক।’’ এরপরেই অনশন তুলে নেন পড়ুয়ারা। মিঠুন গুপ্ত নামে অনশনরত এক ছাত্র বলেন, ‘‘আন্দোলন তুলে নিচ্ছি। পরের বার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হব।’’

পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে অবস্থান শুরু করেছিলেন কলকাতা বাংলা বিভাগের প্রথম এবং তৃতীয় সেমেস্টারের কয়েকজন পড়ুয়া। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে থেকে যেতে হয়েছিল উপাচার্যকে। এরপরে বাংলা বিভাগের সামনে অনশন শুরু করেন ওই পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের মধ্যে দুই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম পাঠান উপাচার্য। অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর নিজেই অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে যান সোনালি। প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন। ফিরে তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রদের কথা শুনেছি। তবে এখুনি আইন বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।’’ পড়ুয়াদের দাবি ছিল, গত বছরেই উপস্থিতির হার কম থাকা পড়ুয়াদের বাড়তি ক্লাস করিয়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছিল। এবার তা হবে না কেন? সোনালির উত্তর, ‘‘তখন আমি উপাচার্য ছিলাম না। ফলে মন্তব্য করব না।’’ সবশেষে ছাত্রদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোন তালিকায় নাম তুলতে না পারলে অবস্থান বিক্ষোভ বা ফেল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে লাথি মারা ছাত্রের কাজ নয়। তারা পড়াশোনা করুক।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy