দুর্ঘটনায় দুমড়ে গিয়েছে শ্মশানযাত্রীদের গাড়িটি। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
মৃতদেহ সৎকার করে নবদ্বীপ শ্মশান থেকে ফেরার পথে পাথর বোঝাই লরিতে গাড়ির ধাক্কায় দুই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। তিন জনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ নদিয়ার নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে পান্থনগরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন পবিত্র বিশ্বাস (৩৮), অনিতা বিশ্বাস (৩২), সঙ্গীতা বিশ্বাস (১৩), সরস্বতী বিশ্বাস (৪০) এবং নীলমণি সরকার (৬২)। নীলমণির মা শ্রীমতী সরকারের (৯০) মৃতদেহ সৎকার করতে মাজদিয়া পানশিলা এলাকা থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। সকলেই কানাইনগর গ্রামের বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় কানাইনগর মধ্যমপাড়ায় নীলমণির মা মারা যান। রাত ১১টা নাগাদ একটি গাড়ি ভাড়া করে আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরা দেহ নিয়ে নবদ্বীপ শ্মশানে যান। সৎকার শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। শ্মশানযাত্রীদের নিয়ে গাড়ি নবদ্বীপ থেকে ফিরছিল। কানাইনগর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে রাজ্য সড়কের উপরে পান্থনগরে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বালি ভর্তি একটি লরি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটি প্রবল গতিতে এসে লরির পিছন ধাক্কা মেরে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। নবদ্বীপ থানার পুলিশ গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে কাছেই বিষ্ণুপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা পাঁচ জনকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়ি চালাচ্ছিলেন পবিত্রের ছোট ভাই প্রমোদ বিশ্বাস। গাড়ি চালানোই দুই ভাইয়ের পেশা। প্রমোদও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশের অনুমান, সারা রাতের ধকলে চালকের ঘুম এসে গিয়েছিল। সম্ভবত তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy