বিপর্যয়ের সেই মুহূর্ত। সোমবার বেলডাঙার ডুমনিদহ বিলে। নিজস্ব চিত্র
প্রতিমা বিসর্জনে গিয়ে নৌকাডুবিতে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় এই ঘটনা ঘিরে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। সোমবার বিসর্জনের সন্ধ্যায়, বেলডাঙার ডুমনিদহ বিলে প্রতিমার সঙ্গে তলিয়ে যান পাঁচ ভাসান-যাত্রী। সোমবার রাতেই ওই বিল থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে উদ্ধার হয় আরও এক জনের দেহ। রাতভর সার্চলাইট জ্বালিয়ে ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি।
এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশিত পুজো এবং ভাসান সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যে মানা হয়নি, তা মেনে নিয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘ঘটনাটি সন্ধ্যার দিকে ঘটায় উদ্ধারকাজে অসুবিধা হয়েছে। পুলিশ এখনও বিল জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই নৌকায় বিধি না-মেনে এত জনের ওঠা উচিত হয়নি।’’
স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেলডাঙা পুর এলাকার হাজরা পরিবারের ওই প্রতিমাটি ডুমনিদহ বিলে ভাসান দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দু’টি নৌকার মাঝে বাঁশের কাঠামো বেঁধে প্রতিমা বিলের মাঝামাঝি নিয়ে গিয়ে ভাসান দেওয়াই রীতি। এ দিনও সে ভাবেই ভাসান দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই পরিবারের লোকজনেরা। তবে বিধির তোয়াক্কা না-করেই দু’টি নৌকায় অন্তত জনা পঞ্চাশ ভাসান-যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সন্ধে পৌনে ৬টা নাগাদ প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সেটি হুড়মুড়িয়ে একটি নৌকার উপর পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: দশমীতেও ভিড়ভাট্টা, এ বার কী হবে?
প্রতিমার তলায় চাপা পড়েই তলিয়ে যান অন্তত পাঁচ ভাসান-যাত্রী। নৌকায় অন্য যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সাঁতরে পারে উঠে এলেও রোহন পাল (২৩), অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩), সুখেন্দু দে (২২), রুবাই হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় (২০) ও নিপ্পন হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৩৫) উঠতে পারেননি। পরে তল্লাশিতে একে একে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফেরত সাত বাংলাদেশিকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy