প্রতীকী ছবি।
নাচাতে গিয়ে সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগে ধৃত তিন বৃহন্নলাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালত। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে জামিনের আর্জি জানিয়ে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর জামিন অযোগ্য ধারা (৩০৪) থাকায় বিচারক জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন। ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে তৃতীয় লিঙ্গের থাকা ব্যবস্থা নেই। তাই তিন বৃহন্নলাকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
শুক্রবার সকালে বিনপুরের শিলদার বাসিন্দা চন্দন খিলারের দুই সদ্যোজাত যমজ পুত্রসন্তানের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন তিন বৃহন্নলা। চন্দনের অভিযোগ, বৃহন্নলারা মোটা টাকা দাবি করেছিলেন। রফা করে টাকা দেওয়ার পরে সুমন ও শোভন নামের এক মাস বয়সী দুই যমজ সদ্যোজাতকে জোর করেই নাচাতে শুরু করেন বৃহন্নলারা। সুমনের হদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় তাকে নাচাতে বারণ করেছিলেন চন্দন ও তাঁর স্ত্রী তনিমা। তবে বৃহন্নলারা জোর করেই সুমনকে নাচিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। নাচানোর সময়েই শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দনের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন বৃহন্নলাকে গ্রেফতার করে বিনপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত ঘটানোর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়। এদিন মৃত শিশুর বাবা চন্দন ও তাঁর পরিবারের লোকজন আদালতে হাজির ছিলেন। চন্দনের আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, ‘‘পরবর্তী শুনানির দিনে অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রেখে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানাব। অভিযুক্তরা তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় তাঁদের সঠিক পরিচয়ের নথিপত্রের অভাব রয়েছে। অভিযুক্তরা জামিন পেলে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy